বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত ৩ জনের মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। এখনও লাশ না নেওয়ায় ধোঁয়াশা সুষ্টি হয়েছে। ঐ বিমানে হতাহত ৪ জনের বাংলাদেশে অবস্থানের ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ ৩ জনের মৃতদেহ কবে, কাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের কাজ শেষ করে মৃতদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি বিমান সংস্থা ট্রু এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানালেও কবে মৃতদেহ হস্তান্তর হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ওসি।
মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে কোন প্রকার কথা বলতে রাজী নন বেসরকারি বিমান সংস্থা ট্রু এভিয়েশন। ট্রু এভিয়েশনের এক কর্মকর্তার বলছে, বিমানে হতাহত ৪ জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে জানুয়ারি মাসে। যার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডলোডারম্যান এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৮ জানুয়ারি।
নিহত ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ আন্দ্রে, পাইলট মুরাদ, কো-পাইলট ইভান এর মেয়াদ শেষ হয় ১৬ জানুয়ারি। এরা অবৈধভাবে অবস্থান কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। ফলে মৃতদেহ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে এবং বিলম্ব হবে।
বুধবার সকালে কক্সবাজার বন্দর থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক সমুদ্র পয়েন্টে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলট সহ তিন বিদেশি নিহত হয়। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন বিদেশি। ট্রু এভিয়েশনের কার্গো বিমানটি তখন চিংড়ি পোনা নিয়ে কক্সবাজার থেকে যশোরের পথে যাচ্ছিল।