বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়লেও এগোতে পারছে না জ্বালানি খাত। সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের চেয়ে এলএনজি আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় সমুদ্র বিজয়ের সুফল ঘরে তোলা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সরকারের দাবি, জরুরি প্রয়োজনে এলএনজিকে গুরুত্ব দেয়া হলেও অনুসন্ধান প্রক্রিয়া থেমে নেই।
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দেশবাসীকে উপশম দিতে পারায় তাৎক্ষণিত সমাধান হিসেবে এসেছিলো কুইক রেন্টাল। খরচ বেশি তাই সমালোচনা ছিলো অনেক। কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হওয়ায় কুইক রেন্টাল নিয়ে এখন আর জোরালো সমালোচনা নেই। বিদ্যুতের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গ্রাহকের সর্বোচ্চ চাহিদা মোকোবেলার সক্ষমতায় পৌঁছেছে ।
বিদ্যুতে এই সাফল্যের উল্টোচিত্র গ্যাস উৎপাদনে। আট বছরে ৭শ’ এমএমসিএফডির মতো বাড়লেও ঘাটতি কমপক্ষে ৫শ’ এমএমসিএফডি। তাই বাসা-বাড়ি ও শিল্পকারখানার চাহিদার যোগান দিতে ৪ হাজার এমএমসিএফডি পর্যন্ত এলএনজি আমদানীর পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা এবং এলএনজি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, জরুরি প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া স্বাভাবিক।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২০১২ ও ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রের নিস্কন্টক সীমানা নির্ধারণের পর দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এলএনজি আমদানীর চেয়ে সমুদ্র বিজয়কে কাজে লাগাতে সরকারি সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়নের প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের।