সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে কেউ শুকাচ্ছেন ধান, কেউ শুকাচ্ছেন খড় আবার কেউ কেউ ব্যস্ত ধান মাড়াই ও খড়ের পালা দেওয়া নিয়ে।
যে কারণে বিদ্যালয়ের মাঠ পা ফেলানোর জায়গা নেই। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারছে না খেলাধুলা করতে। হচ্ছে না জাতীয় সংগীত পিটি প্যারেডও। শিক্ষক ঘুমাচ্ছেন শ্রেণিকক্ষের টেবিলেই। বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতেও।
সরেজমিনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ে মাঠ দখল করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ধান মাড়াই করছেন, অনেকেই আবার ধান ও খড় শুকাচ্ছেন। দেখা গেলো অনেকেই এ মাঠেই খড়ের পালা দিয়ে রেখেছেন। পুরো মাঠজুড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। যে কারণে এখানে অনুষ্ঠিত। হচ্ছেনা জাতীয় সংগীত, হচ্ছেনা পিটি প্যারেড, খেলাধুলা করতে পারছে না কোমলমতি শিশুরা। অন্যদিকে দেখা গেলো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা পড়ছেন আর সহকারী শিক্ষিকা মাসুদা বেগম চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে সহকারী শিক্ষিকা মাছুদা বেগম কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এখনো ক্লাস শুরু হয়নি তাই ঘুমাচ্ছি। তাতে কি এমন ক্ষতি হলো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছেরাজুননেছা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে খড়ের পালা দেওয়া ও ধান শুকানোর বিষয়ে স্থানীয়দের বারবার নিষেধ করলেও তারা কেউ আমার কথা শোনেন না। বেশি কিছু বলতে গেলে আমার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বরমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে। বিষয়টি উনি দেখবেন।