চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিদেশ যেতে অবৈধ লেনদেন করবেন না: প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কারও সঙ্গে কোনো ধরণের লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোন কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যান সাধারণত তিন বছর মেয়াদে। কিন্তু মেয়াদের বেশি সময় অবস্থান করা বাংলাদেশীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয় দেশটি। অনেক চেষ্টার পর জনশক্তি রপ্তানির বন্ধ দুয়ার খোলে, নতুন করে কর্মী নিতে রাজি হয় মালয়েশিয়া।

সরকারী পর্যায়ে মাত্র ২৫ হাজার টাকা খরচে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট-জিটুজি প্রক্রিয়া কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে ২০১২ সালে দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়।

আগামী তিন বছরে মালয়েশিয়া বিভিন্ন সেক্টরের জন্য ১৫ লাখ কর্মী নেবে বিভিন্ন দেশ থেকে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর সাথে মালয়েশিয় প্রতিনিধিদলের এই বৈঠক।

চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন সংক্রান্ত্র মহাপরিচালক দাতু মোস্তাফা বিন ইব্রাহিম।

বৈঠক শেষে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, কর্মী পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাউকে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার না হতে আহবান জানান তিনি।মন্ত্রী জানান, আমাদের মালেয়শিয়ার দু’টি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে।

তবে প্রক্রিয়াগুলো এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আমরা লোক পাঠানো শুরু করব।কোন ব্যক্তি যদি এই মূহুর্তে বলে যে তারা লোক পাঠাতে পারবে, তবে সেটা হবে ভুল।

দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজস্ব লোক ব্যতীত কেউ জানি কোন প্রকার লেনদেন কারো সঙ্গে না করে।লেনদেন করলেই তারা ঠকে যাবে এবং পরবর্তীতে জটিলতার সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। প্রশিক্ষণের কাজ অনেকটা এগিয়েছে জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালয়েশিয়া যেতে পারবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের ট্রেইন করা হচ্ছে।

এই ট্রেনিং এর আগেই যদি কেউ বলে আমি নিয়ে যাবো তাহলে তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না। মালয়েশিয়ায় যে শ্রমিকরা যাবেন তাদের নূন্যতম মাসিক বেতন ৯শ রিংগিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী।