আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাউথ আফ্রিকায় বসবে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। তার আগে ব্যস্ত সময় কাটাবে বাংলাদেশের যুবারা। জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ। যেখানে স্বাগতিক দল ছাড়া অপর প্রতিপক্ষ গতবারের যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় বসবে এশিয়া কাপ। অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড সফর। নভেম্বরে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। ব্যস্ত সূচি সামনে রেখে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ।
কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইগার যুবারা, তার আদ্যোপান্ত সংবাদমাধ্যমকে তুলে ধরলেন বিসিবির কোচ মাহবুব আলী জাকি, ‘কন্ডিশনটি কী থাকে সেটি আমরা ছেলেদের বুঝিয়েছি। ইংল্যান্ডে গেলে কেমন থাকবে, সাউথ আফ্রিকায় গেলে কেমন, সেটি আমরা শ্রীলঙ্কাতে ছেলেদের বুঝিয়েছি যে এমন কন্ডিশন থাকবে। আমাদের সাম্প্রতিক প্রস্তুতির জন্য মাঠও এভাবেই চেয়েছি। আমাদের ঘাসের উইকেট দিতে হবে, বাউন্সি উইকেটও দিতে হবে। সাধারণ উইকেটে খেললে তো লাভ নেই। আমাদের একই ধরণের কন্ডিশন এই পরিবেশেই তৈরি করতে চাচ্ছি।’
‘এখানে উইকেটই সবথেকে মূখ্য ব্যাপার। কারণ এখানে একটি ইভেন বাউন্স থাকবে ওদের। আনইভেন কিছু থাকবে না। মানে ধারাবাহিক বাউন্স থাকবে। সাধারণ একটি হাইট থাকবেই সবসময়। হঠাৎ করে হাঁটুর নিচে বল আসবে না। এ ধরণের কোনো ব্যাপারও নেই। আর আমারও নিজের অভিজ্ঞতা আছে ইংল্যান্ডে খেলার। সেই জিনিসগুলোই এখানে কাজে লাগাচ্ছি।’
‘এরপরও আমি মাশরাফীর সাথে আলাপ করেছি যে আমরা কি ধরণের লেন্থে যাবো। কারণ মাশরাফী তো অনেক অভিজ্ঞ। সে আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়েছে এই লেন্থের উপরে যান। বলেছে এই লেন্থের বাইরে যাবেন না। এর পেছনে হলে শর্ট হয়ে যাবে। আমরা যে লেন্থে এখানে বোলিং করি সেটি ওখানে শর্ট পিচ, ব্যাক অফ লেন্থ।’ -বলেন যুবাদের কোচ।
এপ্রিলে পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। তাতে টাইগার যুবাদের ম্যাচ-প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত আরও আগেই। সিরিজটি বাতিলের আগ পর্যন্ত সাভারের বিকেএসপিতে চলেছে অনুশীলন। জাতীয় দল আয়ারল্যান্ড সফরে চলে যাওয়ায় মিরপুরের একাডেমি মাঠ মাতিয়ে রাখছে যুবারাই। ঈদের আগ পর্যন্ত চলবে টানা অনুশীলন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসে চলবে শেষভাগের অনুশীলন। বিশ্বকাপ পর্যন্ত টানা ম্যাচের মধ্যে থাকবে দল।
‘আমরা ফিটনেসের ওপর জোর দিচ্ছি। গতকাল স্কিল ছিল। এরআগে ফিটনেস ছিল তিনদিন। আজকেও ফিটনেস। এই সূচি ঈদের আগে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ঈদের পরে দুই দিন পরেই শুরু হয়ে যাবে, কারণ এরপর তো আর সময় নেই। এসেই আমাদের চলে যেতে হবে। সুতরাং এটাই আমাদের শেষ প্রস্তুতি। যেহেতু আমাদের জুলাইয়ে সফর করতে হবে ইংল্যান্ডে, তাতে সময় বেশি নেই। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে মনে হয় ইংল্যান্ডে সফর করতে হবে।’