ঘোষণাটা আগেই দেয়া। চলতি মৌসুম শেষেই বুটজোড়া তুলে রাখবেন ফিলিপ লাম ও জাবি আলোনসো। কথা মত শেষ ম্যাচে জিতে শেষটাও রাঙিয়ে গেলেন দুই তারকা। আর জয় দিয়ে মৌসুমের ইতি টানল বাভারিয়ানরা। ফ্রেইবুর্গকে ৪-১ গোলে হারিয়ে লাম-আলোনসোকে রাজসিক বিদায় দিল কার্লো আনচেলত্তির বায়ার্ন।
আলোনসো পাস থেকে খেলার পঞ্চম মিনিটে গোলের খাতা খোলেন আরিয়েন রোবেন। পরে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন ডাচ তারকা। তার পাস থেকেই ৭৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিদাল। ৭৬ মিনিট একটি গোল শোধ করে ফ্রেইবুর্গ। তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে রিবেরি ও কিমিচির গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে কোন হার ছাড়া লিগ শেষ করল তারা।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাভারিয়ানদের জন্য ছিল আবেগের সন্ধ্যা। ক্লাবের দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে বিদায় জানানোর পাশাপাশি টানা পঞ্চমবারের মতো জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপার উদযাপনও করতে হয় আনচেলত্তির শিষ্যদের। শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শনিবার রাতের ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে ‘বিদায়’ ও ‘উদযাপন’ শব্দ দুটি রাতটিকে বিশেষ মহিমাময় করে তুলেছে বায়ার্ন খেলোয়াড়দের জন্য।
২০১৪ সালে জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ৩৩ বছর বয়সী লাম। লামের নেতৃত্বেই সেবার ব্রাজিলের মাটি থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরেছিল জার্মানরা। দেশের হয়ে লাম খেলেছেন ১১৩ ম্যাচ। আর বায়ার্নের হয়ে খেললেন ৫১৭তম ম্যাচ।
১১ বছর বয়সে যোগ দেয়ার পর প্রায় গোটা ক্যারিয়ারই বায়ার্নে কাটিয়েছেন লাম। বুন্দেসলিগায় অধিনায়ক হিসেবে টানা পঞ্চম ও ক্যারিয়ারের অষ্টম শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই বিদায় নিলেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে এটা লামের ২১তম শিরোপা।
অন্যদিকে, একবিংশ শতকের অন্যতম সেরা ফুটবলার ৩৫ বছর বয়সী আলোনসো খেলেছেন লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের মতো বড় তিন ক্লাবে। ২০০৫ সালে লিভারপুলের হয়ে ও ২০১৪ সালে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন।
স্পেনের ‘অজেয়’ দলটির অপরিহার্য সদস্য হিসেবে আলোনসো জিতেছেন ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো শিরোপা। এমন কোন বড় শিরোপা নেই, যা তিনি ক্লাব ও দেশের হয়ে জিততে পারেননি। ক্লাব ও দেশের হয়ে তার মোট শিরোপা এখন ১৯টি।