চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিতর্কের কারণে মুরালিধরনের বায়োপিক থেকে সরে গেলেন বিজয়

‘এইট হান্ড্রেড’ ছবিতে মুত্তিয়া মুরালিধরনের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তেলেগু অভিনেতা বিজয় সেথুপতির। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ছবি থেকে সরে গেলেন এই অভিনেতা।

শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় সরকারের সমর্থনে ছিলেন মুরালিধরন, এমনটাই মনে করা হয়। তাই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে তামিল জাতীয়তাবাদীদের এক অংশ, শিল্পী ও রাজনীতিবিদরা। আর তাই বিতর্ক না বাড়িয়ে এই ছবিতে থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয় সেথুপতি।

‘এইট হান্ড্রেড’ ছবিতে মুরালিধরনের চরিত্রে বিজয় সেথুপতিকে নেয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। মুরালিধরন অবশ্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তামিলদেরকে তিনি কখনওই অসম্মান করেননি। তবুও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা বাড়তে থাকে।

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ভারাথিরাজা, থামারাই, চেরন থেকে শুরু করে স্টেট মিনিস্টার কদমবুর সি রাজু পর্যন্ত বিজয় সেথুপতিকে অনুরোধ করেন তামিলদের অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে ছবি থেকে সরে যাওয়ার জন্য।

সোমবার মুরালিধরন এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ভুল ধারণার কারণে বিজয় সেথুপতিতে সিনেমা থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।’ সাথে যোগ করেন, তিনি চান না তামিল নাড়ুর কোনো শিল্পী তার কারণে ঝামেলায় পড়ুক। মুরালিধরনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টটি শেয়ার করেন বিজয় সেথুপতি।

কয়েকদিন আগে প্রকাশ পেয়েছিল ‘এইট হান্ড্রেড’ ছবির মোশন পোস্টার। সেখানে আভাস ছিলো, ছবিতে দেখানো হবে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটি। মুরালিধরনকে পেশা হিসেবে ক্রিকেটকে বেছে নিতে দেখা যাবে। দেখানো হবে ট্রেনিং ও প্র্যাকটিসের মাধ্যমে কীভাবে তিনি বিশ্বসেরা হয়ে উঠলেন এই প্রতিকূলতার মাঝে।

জুলাই মাসে ‘এইট হান্ড্রেড’ ছবির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নির্মাতাদের পরিকল্পনা আছে, এবছরের শেষ নাগাদ ছবি মুক্তি দেয়ার। ছবির শুটিং হবে তামিল ভাষায়। তবে প্রযোজকরা পরিকল্পনা করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি ভাষায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মুভি ট্রেন মোশন পিকচার্স এবং বিবেক রাঙ্গাছরি। পরিচালনা করেছেন এমএস শ্রীপাথে।