আপিল বিভাগের আদেশ মেনে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (বিটিআরসি) পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন।
রোববার দুপুরে বিটিআরসিতে গিয়ে ওই টাকার চেক প্রদান করেছে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবারের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণফোনকে আদেশ দেন।
এর আগে বিটিআরসি’কে ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে আপিল বিভাগের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত গ্রামীণফোনকে বলেন, সোমবারের মধ্যে আগে বিটিআরসিকে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আসুন এরপর ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে গত বছর দাবি করে বিটিআরসি।
একপর্যায়ে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিম্ন আদালতে একটি টাইটেল স্যুট (স্বত্ত্বের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। ওই মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে, যা গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেন।
নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। সে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিটিআরসি।
সে আপিলের শুনানি নিয়ে গত ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগ ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সাপেক্ষে গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার আদেশটি বাস্তবায়ন না হলে এর আগে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশটি (ভ্যাকেট) বাতিল হয়ে যাবে বলে তখন জানিয়ে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল বিভাগের এই আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ২৬ জানুয়ারি রিভিউ আবেদন করে গ্রামীণফোন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।