চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপনের জন্য সাংসদ পদ হারাবেন মিমি?

তৃণমূলের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আবারও পড়েছেন সমালোচনার ঘেরাটোপে! এবার নাকি তার সামনে সাংসদ পদ হারানোর ঝুঁকি!

কেন এবার এমন পরিস্থিতির শিকার মিমি? কলকাতার স্বনামধন্য সংবাদ মাধ্যমের খবর, একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনী পণ্যে নিজের ‘সাংসদ’ পরিচয় ব্যবহার করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিমি।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, একটি নারিকেল তেলের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন মিমি। নতুন বিজ্ঞাপনটিতে মিমি ছাড়াও রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। কী দেখা গিয়েছে সেই বিজ্ঞাপনে? দেখা যায়, একটি আয়নার সামনে বসে চুল বাঁধছেন মিমি। পিছন থেকে হেঁটে আসছেন বিদ্যা। মিমিকে তিনি প্রশ্ন করছেন, ‘এখনও চুল নিয়ে পড়ে?’ জবাবে মিমি বলছেন, ‘আমি এখন জনপ্রতিনিধি। তাই তার যোগ্য হেয়ারস্টাইল!’

এটুকুতেই মিমির কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিতর্ক ফের মাথাচড়া দিয়েছে মিমির এই বিজ্ঞাপন প্রচারে আসার পর পরই। যদিও এই বিজ্ঞাপনের কারণে ওই আইনের আওতায় মিমির সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে কি না, তা নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সংশয় রয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী বলেছেন, কোনো সাংসদ এটা করতে পারেন না। ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে কেউ এভাবে পয়সা রোজগার করতে পারেন না।

আইন প্রনেতারা বলছেন, সাংসদদের আদর্শ আচরণ বিধিতে যে ‘স্বার্থের সংঘাত’ সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে, মিমি চক্রবর্তী তা সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করেছেন। এই অভিযোগ এনে অনেকেই আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে ‘সাংসদ পদ খারিজ’ করার কথা বলেছেন। যদিও মিমি বলছেন, ‘তিনি নিয়ম জানতেন না।’

তবে বিপক্ষ দল মিমির না জানার বিষয়টিকে পুঁজি করে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বলছে, ‘সাংসদ পরিচয় ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন বৈধ নয়, এটা নাকি মিমি চক্রবর্তী জানেন না? যদি না জেনে থাকেন, তা হলে বুঝে দেখুন, তৃণমূল কাদের সংসদে পাঠিয়েছে।’

এসব বিষয়ে মিমির দল তৃণমূল থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে মিমি জানিয়েছেন, এই আইন নিয়ে তিনি কিছু জানতেন না। বিজ্ঞাপন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে বিতর্কিত অংশটুকু এডিট করে প্রচারের কথাও বললেন তিনি।

যে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক: