মিয়ানমারের বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় টেকনাফের বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট দিয়ে ২ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক লে কর্নেল মো: আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্য মিয়ানমারের মংডু শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টায় মংডুর নম্বর-১ এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্ট মায়ানমারে নম্বর-২ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ অধিনায়ক ও টেকনাফস্থ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে ১০ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নম্বর-২ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে.কর্নেল নে মেউ থো। বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধি দল বেলা ২ টার সময় টেকনাফ ফিরে আসেন।
এতে কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি-বিজিপি চলমান যৌথ টহল নিয়মিত করাসহ দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের লে: কর্নেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী।
বিজিবি কর্মকর্তা মো: আছাদুদ-জামান আরো জানান মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বসে যাতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গ্রুপ তৎপরতা চালাতে না পারে সে ব্যাপারে সহায়তা চাওয়া হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নাফ নদীতে বিওপি পর্যায়ে যৌথ টহল পরিচালনা করেছে বিজিবি ও বিজিপি। ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপির সুবেদার মোঃ আব্দুল জলিল এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টহলদল ২টি স্পিডবোট যোগে এবং প্রতিপক্ষ নম্বর-২ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ এর অধীনস্থ ক্যাকয়ন (কুরশুঁহ) ক্যাম্পের লে.নায়েং লিন এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টহলদল তিনটি স্পিডবোট যোগে বিআরএম-১৫ হতে বিআরএম-১৮ পর্যন্ত নাফ নদীতে একটি যৌথ সমন্বয় টহল পরিচালনা করা হয়।