বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, সোমবার ভারতের নয়াদিল্লিতে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় এই সম্মেলন শুরু হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এ সম্মেলনে যোগ দেয়।
এ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস এর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, ফ্রন্টিয়ার আইজিরা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি (সীপকস) এর সভানেত্রী সোমা ইসলামের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল একইসাথে ভারত সফর করছেন।
“সীপকস প্রতিনিধিদল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন (BWWA) এর প্রতিনিধিদলের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন।”
এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহতের ঘটনা, আগ্নেয়াস্ত্র/গোলাবারুদ/বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য যেমন: ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট ইত্যাদি চোরাচালান, নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার/আটকের ঘটনা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি এর ভেন্যুসমূহে দর্শকদের জন্য সীমান্তের দু’পাশে একই ধরনের গ্যালারি নির্মাণ, সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ এর আওতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।