নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সদস্য হিসেবে থাকছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরিন আকতার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটির নাম দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সকালে বঙ্গভবন থেকে চিঠি পাঠানো হয়।
ওই চিঠির সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। আজ অথবা কালের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১৮ ডিসেম্বর শুরু করে প্রায় এক মাসে বঙ্গভবনে ৩১টি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেন। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে।
বিএনপির সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বিষয়টি নিয়ে ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এর মধ্যে নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠনসহ ইসিকে শক্তিশালী করতে জন প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাবসহ কয়েক দফা প্রস্তাব দেয় বিএনপি।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আলোচনায় আইন প্রণয়ন এবং নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি চালু করাসহ কয়েকদফা প্রস্তাব দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে। এতে নতুন ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়।
অন্যান্য দলগুলোও ইসি পুনর্গঠনে আইন প্রণয়নসহ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানায়।