চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিখ্যাত শুটার যেভাবে হত্যা করল মানুষখেকো অবনীকে

ব্যবহার করা হয় ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন ও প্রশিক্ষিত কুকুর

টানা তিন মাসের চেষ্টার পর ১৩ জনের প্রাণ নেয়া বাঘিনী অবনীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতের বিখ্যাত শুটার আসগর আলি।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ভারতের মহারাষ্ট্রের যাবতমল বনে শুক্রবার রাতে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।

অবনীকে ধরতে গত তিন মাস ধরে ব্যাপক অভিযান চালানোর পর তাকে হাতে পায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

এর আগে তাকে দেখা মাত্রই গুলি করতে নির্দেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এরপর অবনীকে না মেরে বাঁচিয়ে রাখতে নিয়ে অনলাইনে পিটিশনও হয়। 

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিখ্যাত শুটার নবাব শাফাত আলির ছেলে তীক্ষ্ণ শুটার আসগর আলি অবনীকে গুলি করেন। বরাতি বনে রালেগাও পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন কম্পার্টমেন্ট নম্বর ১৪৯ এ তার উপর গুলি চালানো হয়।

তবে অবনীর ১০ মাস বয়সী দুই শাবক জীবিত রয়েছে। অন্য বাঘিনীর মূত্র এবং আমেরিকান পারফিউম কম্পার্টমেন্টের আশেপাশে ছড়িয়ে ফাঁদ পেতেছিল কর্মকর্তারা। সেটা শুকেই সেখানে এসেছিলো অবনী।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই বছরে অন্তত ১৩ জন মানুষকে হত্যা করেছে অবনী। পানধারকাওদা বল এলাকাতেই বসবাস করতো সে।

গত তিন মাস অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ১৫০ জন কর্মকর্তা, হাতি এবং বিশেষজ্ঞ ট্র্যাকার এবং শুটার একসঙ্গে অবনীর খোঁজ চালাচ্ছিল।

ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন, প্রশিক্ষিত কুকুর এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা একত্রে কাজ করে অবনীকে ধরতে। অবনীর জন্য বনবিভাগ মার্কসম্যান শাফাত আলি খানকেও ভাড়া করেন।

তবে গত মাসে, বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ একটি পিটিশনে সায় দেয়, যেখানে বাঘিনীকে হত্যা করার পরিবর্তে জীবিত ধরার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল।

ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাক্টিভিস্ট জেরিল এ বানাইত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মাথায় রেখে জানান, বাঘিনীকে হত্যা করলে তার বাচ্চারা অনাথ হয়ে পড়ে, তার বদলে বন বিভাগ যদি তাকে জীবিত ধরতে পারে তাহলেই ভালো।