সম্প্রতি বাংলাদেশ সিনিয়র দলের বিপক্ষে কলম্বোতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে জয়ে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। রোববার সাভারের বিকেএসপিই যেন কলম্বোর প্রেমাদাসা হয়ে উঠল লঙ্কান ইমার্জিং দলের জন্য। দুদলের ইনিংসে ফিফটির সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। বাংলাদেশের এক, শ্রীলঙ্কার দুই। কিন্তু দুদলের জয়-পরাজয়ের ফারাকটা বিশাল। প্রথম আন-অফিসিয়াল ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ১৮৬ রানে জিতেছে সফরকারীরা।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে লিড নিল শ্রীলঙ্কা।
বিকেএসপিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে তারা। ওপেনিংয়ে ৪৮ রান তুলে শুরুটা ভালো করে দেন সান্দুন বিরাক্কোডি (৩১) ও পাথুম নিশাকা (১৮)। দুই ওপেনারের গড়ে দেয়া ভিত আরও শক্ত করেন অধিনায়ক চারিথা আশালঙ্কা। তার দলীয় সর্বোচ্চ ৭১ রানের সঙ্গে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা।
ছোট ছোট, তবে কার্যকরী ইনিংস খেলে দুই হাফসেঞ্চুরিয়ানকে সাহায্য করেন কামিন্দু মেন্ডিস (২৮), আসিন বান্দারা (২৯*) ও সাম্মু আসান (৩৩)।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দুই ইসলাম, শহিদুল ও শফিকুল। এছাড়া আফিফ, আমিনুল ও ইয়াসির আরাফাত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
লঙ্কান ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধস। যা শেষপর্যন্ত আর থামেনি। দলীয় ১৮ রানে মোহাম্মদ নাঈমকে দিয়ে শুরু, ১১৮ রানে ইয়াসির আরাফাতকে দিয়ে শেষ।
মাঝে একা ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান কেবল সাইফ হাসান। দলের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ানও এই ওপেনার। ৭০ বলে ঠিক ৫০ রান তুলে নয়-নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন।
দলের আটজন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। এর অর্ধেক আবার সাজঘরে ফিরেছেন হিসাবের খাতা না খুলেই। সাইফ ছাড়া দুই অঙ্ক ছোঁয়া অপর দুই ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন (১৯) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১০)।
ব্যাটের পর বল হাতেও লঙ্কানদের হয়ে বাজিমাত করেন হাসারাঙ্গা। ৬ ওভার বল করে তিন মেডেনসহ ১২ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। দিনশেষে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে এ অলরাউন্ডারের হাতে।