বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ১১ বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ১৪০ জন চিকিৎসকে চাকরিতে ধারাবাহিকতাসহ স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সেই সাথে চিকিৎসকদের ‘আউট অব সার্ফিসে’ থাকা সময়কালকে বিনা বেতনে ছুটি হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের করা পৃথক পাঁচটি আপিল ও লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাচ বিচারপরতির আপিল বেঞ্চ আদেশ দেন।
আদালতে ১৩৮ জন চিকিৎসকের পক্ষে শুনানি ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও কামরুল হক সিদ্দিকী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন। আর বিএসএমএমইউ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম ও তানজিব উল আলম।
গত ১৭ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এবিষয়ে আদেশের জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েক’শ চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তামান সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সালান। এই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।
শুনানির পর লিভ টু আপিল খারিজ হয়।
পরে ওই খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে চিকিৎসকরা আবেদন (রিভিউ) করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ রিভিউ গ্রহণ করে আপিল করার অনুমতি দেন।
এরপর চিকিৎসকরা পৃথক পাচটি আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২১ মে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।