স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অাসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, আপনাদের সময় দেশ পরপর চার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, পঞ্চমবার হয়েছে দ্বিতীয়। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শই করতে পারেনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ‘আলোক চিত্রে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: ‘বিএনপি নেতা রিজভী বলেছেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতির উদযাপন নাকি বিকৃত আনন্দ উৎসব। পুরো বাংলাদেশ যখন এ আনন্দ উৎসব উদযাপন করছে, তখন তিনি বলছেন বিকৃত আনন্দ উৎসব!’
‘‘বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, দেশ আরো আগেই নাকি উন্নয়নশীল হয়ে যেত। কীভাবে হতো। ইতিহাসের দিকে একটু তাকান। আপনাদের সময় দেশ পরপর চার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, পঞ্চমবার হয়েছে দ্বিতীয়। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শই করতে পারেনি। কোন দেশেই তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়নি। এমন সৎ হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়নের জন্য ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার প্রয়োজন’, বলেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বঙ্গবন্ধু মাথা নত না করে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি অাদায় করেছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ আরো আগেই আমরা দিতে পারতাম। তিনি খুব কম সময়েই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল করে গড়ে তুলতেন। যে মানুষটি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাকেও ষড়যন্ত্রকারীরা রেহাই দেয়নি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা যদি বেঁচে না থাকেন তাহলে দেশ অন্ধকারে চলে যাবে। আমরা আর অন্ধকারে যেতে চাই না।’
গোয়েন্দা পুলিশের পোশাক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: ইউনিফর্ম পড়লে গোয়েন্দা পুলিশ কীভাবে কাজ করবে? গোয়েন্দাদের কিছু কাজ সিভিল ড্রেসে করতে হয়। এখনকার পুলিশ সদস্যরা অনেক দক্ষ। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে পুলিশে যোগ দিয়েছেন। তারা অনেক বিচক্ষনতার সঙ্গে কাজ করছেন। এখনকার পুলিশ নিরপেক্ষ, পেশাদার ও দেশপ্রেমিক।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: আপনারা কখনও বিভক্তিতে ভুগবেন না, কখনও দুষ্কর্ম করবেন না। যারা এমন করেন তাদের ব্যাপারে সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন জানি। কিন্তু দয়া করে আপনারা এমন কাজ করবেন না। আপনারা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করবেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।