চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিএনপি যেন নির্বাচনের আগেই হেরে গেছে: কাদের

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকাসহ আসন্ন তিন সিটি করপোরেশ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এসব প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি যেন নির্বাচনের আগেই হেরে গেছে। আগাম কিছু অভিযোগ করে রাখছে। যেন হেরে গেলে গ্রাউন্ড হিসেবে তুলে ধরতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুর রাজধানীর এলেনবাড়িস্থ বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে আসন্ন ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন: নির্বাচনটা এখনও হলোই না, তারা অভিযোগ করছেন। তাহলে কি হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় আগাম কিছু অভিযোগ রেখে যাচ্ছেন, যাতে হেরে গেলে এগুলোকে গ্রাউন্ড হিসেবে তুলে ধরতে পারেন?

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে বিএনপি মহাসচিব যে অঅিযোগ করেছেন তার জবাবে তিনি বলেন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কী বোঝাতে চান? আমি কি কোন সিটির আশেপাশে একবারও গেছি? ফখরুল ইসলাম সাহেব যেতে পারেন। তাহলে এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিভাবে থাকলো? এক পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি (বিএনপি মহাসচিব) যেতে পারবে আরেক পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি যেতে পারবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রশ্ন তুলছেন কেন?

‘কথা হতো যদি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি যেতো। অথচ উনি যেতে পারেন আমি তো যাচ্ছি না। উনি যাবেন আমি যাবো না। ফখরুল সাহেব নিজেকে প্রশ্ন করুক। আমি তো প্রশ্ন করতে পারি কোথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’, বলেন ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: আমাদের কোন এমপি নির্বাচনী এলাকা গুলোতে যাচ্ছে না। ইসি যে নির্দেশনা দিয়েছে সে নির্দেশনা মতে আমরা চলবো। আমাদের নবনির্বাচিত মেয়রদের তিন সিটি নির্বাচনে যেতে নিষেধ করেছে। আমরাও তাদের বলেছি তারা যেন না যায়। তারা এখন যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানতে আমাদের এমপিদের সতর্ক করেছি, তারা যেন নির্বাচনী এলাকায় কোন ক্যাম্পেইনে তারা অংশগ্রহণ না করে।

বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে নির্বাচনে যাবে না এমন মন্তব্যের জেরে কাদের বলেন: বিএনপি বেগম জিয়াকে নিয়ে যাবে কি যাবে না এটা তাদের ব্যাপার। যদি তিনি মুক্তি না পান বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা সেটাও বিএনপির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এখানে অন্যকোন দলকে নির্বাচনে আনার তোড়জোড় আমরা করছি না।

রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা থাকলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন: আমি কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে গিয়েছি। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাহেব আমরা এক সঙ্গে রাজনীতি করেছি। নানান ব্যস্ততার জন্য তাদের অফিসে যাওয়া হয়নি। হয়তো যেতে চেয়েছি, তিনি তখন অফিসে নেই। কাল তিনি অফিসে ছিলেন, আমি গিয়েছি। এটা সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ।

‘‘আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হতে তো আর সমস্যা নেই। প্রত্যেক দলেরই একটা সিদ্ধান্ত আছে। নেতারা আসবেন, অনেক নেতার সঙ্গেই আমার কথা হয়। আজকেও হবে। এ সপ্তাহেও হবে। কেউ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলে আমরা আলোচনা করবো না! অবশ্যই করবো।

রাজনীতিতে যতটা সম্ভব একটা ওয়ার্কিং আন্ডার স্ট্যান্ডিং থাকা দরকার। আমরা সঙ্গে যেই কথা বলছেন আমি নতার সঙ্গেই কথা বলছি। ফখরুল সাহেব আমার সঙ্গে কোন দিনও কথা বলেননি, কাজেই আমি কিভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলবো? তিনি সমস্যা হলে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে, পুলিশের আইজি’র সঙ্গে।

তিনি একবারও আমার সঙ্গে কথা বলেননি। অবশ্য তার কিছু সমস্যা আছে, সেটা আমি বুঝি। তাদের দলের মধ্যেই নানা পোলারাইজেশন রয়েছে। আমার সঙ্গে কথা বললে আবার কোন সঙ্কটে পড়তে হয় দলের ভেতর সেটা একটা ব্যাপার আছে’’, বলেন ওবায়দুল কাদের।