আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না। তারা জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
রোববার ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে তাদের একদম ভরাডুবি হবে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তার জেলে থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারের উদারতায় জেলের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান বিদেশে থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দল পরিচালনা করে। সেও দুর্নীতিপরায়ণ, আইন অনুযায়ী তাঁরও নির্বাচনে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়। কাজেই, তারা কোনক্রমেই নির্বাচন চায় না। তারা চায় সরকারের পতন। কিন্তু এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত জনগণের রায় ব্যতীত এ সরকারের পতন হবে না।
রাজ্জাক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে তারা স্বস্ব পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভাল নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোন আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, বাসাইল-সখীপুর আসনের সাবেক সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সভাপতির পদ পান কাজী অলিদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পান হাজী মতিয়ার রহমান গাউজ। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কাজী অলিদ ইসলামকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল আলম মাষ্টার।
উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থিত কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।