বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সেই সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়াই দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে এম ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদ।
গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনার অধীনেই যদি নির্বাচন যেতে হয় তাহলে ২০১৪ সালে কেন গেলাম না? কেন এতো নির্যাতন, খুন, গুমের শিকার হলাম?
তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। হাসিনা মার্কা বা খালেদা মার্কা সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিলে বিএনপি চিন্তা করতে পারে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া যাবো নাকি খালেদা জিয়াসহ যাবো তা খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমেই আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
মূল বিষয় হলো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে- যোগ করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা আরো বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে শুনতে পাই, ৯০ আসন বিএনপিকে দিতে চায়। আসনের মালিক হাসিনা নাকি? আমরা তো চাই জনগণের প্রতিফলন। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন। ৫ জানুয়ারির মতো কোনো নির্বাচনের সুযোগ এখন নেই।
‘যে ৯০ জনকে আসন দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে সে ৯০ জন আদৌ খালেদা জিয়ার, তারেক রহমান এবং বিএনপির না। আমরা রাজপথে যাবো। আন্দোলন করবো। আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি, আসনের জন্য নয়- বলেন বিএনপির এ নেতা।’
নিজেদের ভেতরকার ঐক্যের কথা বলতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। তবে সেই ঐক্য যেন মান্নান ভূঁইয়ার মতো খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার ঐক্য না হয়। সেই ঐক্য যদি খালেদা জিয়ার বিপক্ষে যায় তাহলে যাদের কোনো পদ-পদবি নাই তাদের হাতে মার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও।
‘যাদের কারণে খালেদা জিয়া বন্দি তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হবে না।’