একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মজুদ রাখা হয়েছে পুলিশের বড় ভ্যান, জলকামান এবং ট্যাংক।
পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নয়াপল্টনে রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ঘোষণা করবেন এ রায়।
নয়াপল্টনে পুলিশের সতর্ক অবস্থানের বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে মতিঝিল বিভাগ পুলিশের এডিসি শিবলী নোমান বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় আজ। এ রায়কে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি আমরা। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের এই অবস্থান।’
১৪ বছর আগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন। যাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আজ।
নৃশংস ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা দুই মামলায় মোট ৫২ আসামির বিচার শুরু হয়। কিন্তু অন্য মামলার তিন আসমি: সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় আদালত আজ ৪৯ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে।
এ মামলার আসামির তালিকায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ, বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী থাকায় নয়াপল্টনে নেয়া হয়েছে এ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।