দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি যে সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিল তা গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে দণ্ডিত ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি দলের যেকোন কমিটির সদস্যপদ কিংবা সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত ওই ধারা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছিল বিএনপি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার নির্দেশনা চেয়ে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তির করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
আদেশের পর আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে বিএনপি সমর্থক দাবিকারী কাফরুলের বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হোসেন নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন।
আজ সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে মোজাম্মেল হোসেনের আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসির প্রতি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মোজ্জামেলের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংশোধনের আগে বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় ‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামে বলা ছিল: ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোন পর্যায়ের যেকোন নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
তারা হলেন:
(ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮ এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি। (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায় বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।’
গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়।
সেখানে ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয় যে: ‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা/ বিলুপ্ত হবে। এখানে উল্লেখ্য যে (/ বিলুপ্ত হবে) বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।