চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শীর্ষ ৮ নেতাকে দুদকের চিঠি: বিএনপি বলছে নতুন ফাঁদ

বিএনপির শীর্ষ ৮ নেতার ‘অবৈধ সম্পদ’ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের- দুদক দেয়া চিঠিকে সরকারের আরেকটি নতুন ফাঁদ হিসেবে দেখছে দলটি। যার মূল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করা। 

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই দুদককে কাজে লাগানো হচ্ছে। হঠাৎ করে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা মিথ্যা এবং বানোয়াট।

‘আসলে সরকার দুদককে দিয়ে নতুন প্রকল্প খুলেছে। তারা আবারো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু সেটা তারা করতে পারবে না।’

দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে বিএনপির অন্যতম নেতা ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাদান এবং বিএনপিকে কালিমালিপ্ত করতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এটি সরকারের নতুন ফাঁদ। এটি সফল হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকতুল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির আট নেতার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে দুই সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালের সম্পদের অনুসন্ধান করবে।

দুদকের দাবি, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ এই সময়ের মধ্যে বিএনপির এসব নেতার ব্যাংক হিসাব থেকে ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়, যা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গোয়েন্দার ওই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।

যেসব ব্যাংকে বিএনপির ওই আট নেতার ব্যাংক হিসাব রয়েছে সেসব ব্যাংকে এ সপ্তাহেই চিঠি পাঠাবে দুদক। ওই চিঠিতে তাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হবে। শুধু তাই নয় তাদের সম্পদের হিসাবও জমা দিতে বলবে সংস্থাটি।