রাজধানীর জোয়ার সাহারার বিআরটিসি বাস ডিপোতে রাখা ১১টি বাস শুক্রবার রাতে আগুনে পুড়ে গেছে। ঈদের আগে হঠাৎ করে বাস ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ কী? এই অগ্নিকাণ্ড কোন নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর এলেনবাড়ির বিআরটিএ কার্যালয়ে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন নেতা ও মালিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: ‘গতকাল মধ্যরাতে রাজধানীর জোয়ার সাহারার বিআরটিসির বাস ডিপোতে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে এ বাসগুলো পুড়ে যায়। এই ১১টি বাসের মধ্যে ৮টি বাস সচল ছিল।’
তিনি বলেন: এই অগ্নিকাণ্ড কোন নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এ অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরাপত্তা কর্মীরা কোথায় ছিল সেটিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন: আসন্ন ঈদে সড়ক-মহাসড়কের জন্য কোন যানজট হবে না। তবে ফিটনেসবিহীন গাড়ী যাতে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে যানজটের সৃষ্টি না করে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। রাস্তায় ফিটনেস বিহীন গাড়ী নামানো আর মানুষ হত্যা করাকে উৎসাহিত করা একই কথা। আর সড়কে ব্যাটারি চালিত গাড়ী দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এসময় গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকদের মোবাইলে কথা না বলা, রং সাইড দিয়ে গাড়ী না চালানো এবং ঈদের তিনদিন সড়কে মালবাহী ভারী যানবাহন না চালানোর জন্যও নির্দেশ দেন তিনি।
‘সড়কে যানজটের জন্য অনেকাংশে আমাদের মন-মানসিকতাকে দায়ী। দেশের যানজট সমস্যার সমাধান করতে হলে আমাদের সকলের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
সভায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা বির্বিঘ্ন করতে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, বাসের ছাদে যাত্রী বহন না করা ও ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন না করার বিষয়ে তদারকি করতে রাজধানীর মহাখালী, সায়দাবাদ এবং গাবতলি বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ট্রাফিক) আহবায়ক করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট তিনটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়।
এছাড়াও ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলমকে আহবায়ক এবং বাংলাদেশ পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন এবং বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলমকে সদস্য করে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান ও বাংলাদেশ পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ পরিবহন মালিক ও নেতারাসহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।