৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিম নিবন্ধন করা না হলে শুরুতে সতর্ক বার্তা হিসেবে দু’ঘন্টা এবং পরে পুরোপুরি সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ নিয়ে জঙ্গি অর্থায়ন কিংবা অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িতরাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আঙুলের ছাপ দিয়ে মোবাইল ফোনের সিম পুনঃনিবন্ধন করার সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে এ মাসেই। সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় এ তথ্য জানিয়ে সচেতন করা হলেও কাজের গতি নিয়ে অসন্তোষ আছে মন্ত্রণালয়ের। সংবাদ সম্মেলনে সেকথা জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আবারও মনে করিয়ে দিলেন, কোনো অনিয়ম চলতে দেয়া হবে না।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, আমরা জানতাম যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বিরোধীতা করবে। জামাত-শিবির, বিএনপি এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরাই এর তীব্র বিরোধীতা করছে’।
যারা অন্যায় কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো তাদেরই কেবল নিবন্ধনে আপত্তি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,‘ আমরা বলেছিলাম এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করবো। এখনো সেই সিদ্ধান্তই থাকছে। আগেই বলেছি যে এপ্রিলে নিধারিত সময়ে যেসব সিম অনিবন্ধিত থাকবে সেগুলোকে আমরা কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে প্রথমে সতর্ক করবো এবং তারপর একটি পর্যায়ে সিমগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ফাঁক রাখবো না’।
আঙুলের ছাপে সিম পুনঃনিবন্ধন উৎসাহিত করতে একটি সচেতনতামূলক র্যালিতে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং বিটিআররসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা।