ভয়াবহ বায়ুদূষণ সমস্যায় ভুগছে জার্মানি। দূষণ নিয়ন্ত্রণে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপের সম্মুখিন। এমন পরিস্থিতিতে দূষণ মোকাবেলায় পরীক্ষামূলকভাবে বিনামূল্যে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে জার্মান সরকার।
সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার ৫টি শহরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে- বন, এসেন, রুইটলিঙ্গেন, ম্যানহেইম এবং স্টুটগার্টের দক্ষিণের হেরেনবার্গ শহর। মঙ্গলবার জার্মান গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি চিঠির বরাতে এমনটি জানা যায়।
চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট কমিশনার কার্মেনু ভেলার কাছে। আর তা লিখেছেন জার্মান পরিবেশ মন্ত্রী বারবারা হেন্ড্রিক্স, কৃষি মন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান স্মেট এবং চ্যান্সেলারি অফিস চীফ পিটার আল্টমেয়ার।
এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে জনগণকে নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে চায় জার্মান সরকার। এর মাধ্যমে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নিরসনসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
চিঠিটিতে বৃহৎ পরিবহন গাড়ির জন্য ‘লো ইমিশন জোনস’ (গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণে ধোয়া নির্গমণের সীমা বেধে দেয়া, এর অন্যথায় জরিমানার ব্যবস্থা) প্রচলন করা, বিদ্যুত চালিত ট্যাক্সির সংখ্যা বাড়ানো এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করার প্রস্তাব রয়েছে।
তবে জার্মান পরিবহন কোম্পানিগুলোর সংস্থা (ভিডিভি) একটি সংবাদ সংস্থাকে এই পরিকল্পনা নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব জানায়। বিশেষ করে অর্থ খরচের বিষয়টি নিয়েই তাদের প্রশ্ন বেশি।
ভিডিভির মতে, জার্মানির মহানগর গণপরিবহন কোম্পানির হাতে আসা অর্থের অর্ধেকই আসে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে– যা বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউরো (১৪.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার)। ভিডিভির মুখপাত্র বলেন, শেষ পর্যন্ত, করদাতাদেরই এই ব্যয় বহন করতে হবে।
জার্মান সরকারের এই চিন্তা পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে রাখতে এবং জার্মান গাড়ি নির্মাতাদের আশ্বস্ত করতে বার্লিনের সর্বশেষ চেষ্টা।