চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বায়ান্ন’র চেতনায় ১৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ

১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর বেগবান হতে থাকে ভাষা আন্দোলন। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে রক্তের বিনিময়ে ভাষার অধিকারের যে অর্জন, সেই চেতনাকে ধারণ করে ১৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের চ্যানেল আইয়ের বিশেষ আয়োজন ‘যেভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ’-এর চতুর্থ পর্বে চেতনার সেই আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

একনায়ক জিন্নাহর মৃত্যুর পরও পাকিস্তান সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোভ, ষড়যন্ত্র ও রক্ষণশীলতায় অতীষ্ঠ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রসংগঠনগুলো যখন সাধারণ মানুষকে নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে, সেসময় ১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন শুকনো বারুদে আগুনের ফুলকি যোগ করেন। ঘোষণা দেন, উর্দুই হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

জ্বলে ওঠে আগুন। ছাত্র সমাজে হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে, রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ছাত্রধর্মঘট, সভা সমাবেশ, মিছিল ও স্লোগানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।

২১শে ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ববঙ্গ আইনসভার বাজেট অধিবেশন, সেদিনই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মসূচি পালন করতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। আগের রাতে সংগঠকরা গোপনে ঢাকা মেডিকেলের প্রিজন সেলে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে আসেন। পরদিন ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে গুলিতে শহিদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ অনেকে। ২২শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, শুরু হয় গণ আন্দোলন।

বায়ান্নতে দেশব্যাপী সংগঠিত ভাষা আন্দোলন স্থায়ী ও গুণগত প্রভাব ফেলে দেশের রাজনীতি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। ১৯ বছর পর যা রূপ নেয় স্বাধীনতা যুদ্ধে।

বুকের রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রভাষার দাবি আদায়ের পর বাঙালি আর পাকিস্তান সরকারের কোন হুমকিই পরোয়া করেনি। একুশের চেতনাকে ধারণ করেই দিনের পর দিন সংগ্রাম করে অর্জন করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

বিস্তারিত দেখুন লায়লা নওশিনের ভিডিও রিপোর্টে