বার্সেলোনায় নতুন পথচলার শুরুর দিন জাভি হার্নান্দেজের বলেছিলেন, বার্সা হারতে পারে না। আমরা সবকিছু জিততে চাই। তবে ভিন্ন বাস্তবতা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেখতে হয়েছে তাকে। কঠিন এক দুঃস্বপ্নের ধাক্কায় গ্রুপপর্বেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। শুধু তাই নয় দুই দশক পর নকআউট পর্বের আগেই বিদায় নেয়ায় অবনমন হয়েছে ইউরোপা লিগে।
তবে পুরো মৌসুমে দিকহারা বার্সা বাদ পড়ার পর নবযুগ আনার আশারবাণী শুনিয়েছেন জাভি। ইউরোপীয় ফুটবলের চূড়ায় বার্সাকে ফিরিয়ে আনার কৌশলও জানা আছে তার।
বার্সেলোনা শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। সেবার এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লিগ) নেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।
সভাপতি জোয়ান লাপোর্তার নেতৃত্বে তখন পুনর্গঠনের মাঝে ছিল বার্সেলোনা। ক্লাবটি তখনও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। সে কারণে তখনকার তরুণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে সেসময় রোনালদিনহোকে পিএসজি থেকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছিল বার্সা। জুভেন্টাস থেকে লোনে এডগার ডেভিডসকে চুক্তিবদ্ধ করেছিল। পরে তারাই দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন ইউরোপ থেকে স্পেন। বার্সেলোনাকে তুলে দিয়েছিলেন অন্যতম স্থানে।
জাভি হের্নান্দেজের বার্সেলোনা এখন ঠিক সেই ধরনের খেলোয়াড় খুঁজছে। উসমান ডেম্বেলে তাদের সেই তালিকায় থাকতে পারে। অথবা শিগগিরই অন্য কাউকে স্বাক্ষর করাতে পারে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
মূল দলকে শক্তিশালী করার ঘোষণাও দিয়েছেন বার্সা সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা। বলেছেন, ‘আমরা এই শীতে (দলবদলে) দলকে উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করছি। আমরা এটি করার জন্য কাজ করছি এবং আমরা সেটা অর্জন করবো।’
কোচ হওয়ার পর জাভিও বলেছিলেন পুরোনোকে ভুলে যেতে। ‘মেসি এখানে নেই, ইতো কিংবা রোনালদিনহোও নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে, যারা আর বার্সায় নেই তাদের নিয়ে নয়।’