চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বার্সার সাথে চুক্তি শেষ, ‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে গেলেন মেসি

সম্পর্কটা এখনও ছিন্ন হয়নি। লিওনেল মেসি বলেননি বার্সার সঙ্গে সব চুকেবুকে গেছে, তিনি অন্য ক্লাবে নতুন মিশনে ছুটছেন। বার্সেলোনাও বলেনি ঘরের ছেলে ও ইতিহাসের সেরা তারকাটি তাদের সাথে সব সুতো কেটে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছেন। এরপরও বার্সা-মেসির চুক্তির একটা অধ্যায় শেষই হয়ে গেছে গত রাতে, ‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে গেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

আইনগতভাবে মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল দু-পক্ষের আগের চুক্তির মেয়াদ। সেটি শেষ হয়ে যাওয়ার আগে দু-পক্ষ নতুন চুক্তিতে বসতে পারেনি।

বার্সা অবশ্য আশাবাদী, ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরবেন, হবে নতুন চুক্তিও। ওদিকে মেসি মুখে কুলুপ এঁটে আছেন। ৩৪ বছর বয়সী মহাতারকা আপাতত জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ত। ব্রাজিলে বসা কোপা আমেরিকার মিশনে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে।

‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে যাওয়ায় শঙ্কার জায়গাও অবশ্য থাকছে, মেসি চাইলেই এখন কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়া অন্য ক্লাবে মানে নিজের পছন্দমতো কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। সেটি গত কয়েকবছর ধরে তার নামের সঙ্গে উচ্চারিত হতে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি হোক, গত কয়েকমাসে আলোচনায় থাকা পিএসজি হোক, বা নতুন দরদামে বার্সার সাথেই পুনঃচুক্তি হোক। যা-ই হোক, এখন মেসি সব নিজের মন-মর্জি মতোই করতে পারবেন।

গত বছর যেটা পারেননি। ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে বার্সা ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে শেষপর্যন্ত থেকে গেছেন প্রিয় ক্লাবেই। বার্সা মেসিকে আদালতে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু আঁতুড়ঘরকে আদালতে নিতে চাননি খোদ মেসিই। সাবেক সভাপতি বার্তোমেউয়ের সাথে সম্পর্কটা অবশ্য ছিন্ন হয়ে যায় ক্লাব অধিনায়কের, বার্তোমেউকে পদ থেকে বিতাড়িতও হতে হয় সময়ের আগেই।

এরপর নতুন সভাপতি এসেছেন। মেসির সঙ্গে যার সম্পর্কের ইতিহাস পুরনো ও গভীর। সেই হুয়ান লাপোর্তাও এখন পর্যন্ত চুক্তিতে বসাতে পারেননি মেসিকে।

২০০১ সালে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন মেসি। আপাতত চুক্তিটা আইনিভাবে শেষ হলেও আত্মিক সম্পর্কটা শেষ হয়নি বলেই মনে করছে বার্সা। লাপোর্তাই যেমন জোর দিয়ে বলছেন উদ্বিগ্ন না হতে!

কয়েকমাস ধরেই খবর হয়েছে মেসি বার্সায় আরও দু-বছরের চুক্তি নবায়ন করতে চলেছেন। কাতালান জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭৩ গোলসংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।

অন্যদিকে সব উদ্বেগ একপাশে সরিয়ে রেখে আপাতত কোপা আমেরিকায় মন দিতে চান মেসি। আলবিসেলেস্তে জার্সিতে প্রথম কোনো শিরোপায় চোখ তার। টুর্নামেন্ট শেষে বাকি কিছু নিয়ে ভাববেন।

বার্সেলোনা করোনাকালীন যে আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছে, তাতে নতুন করে ক্লাব রেকর্ড ৩৫ শিরোপাজয়ী মেসির সঙ্গে চুক্তিতে বসার কী হাল হয় সেটিই এখন দেখার!