ম্যালকমের যাওয়ার কথা ছিল রোমাতে। ইতালিগামী বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে ফরাসি ক্লাব বোর্দোর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে একপ্রকার ছিনতাই করে দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা। প্রায় একই চিত্রনাট্য মঞ্চায়ন করে সেভিয়ার থেকে খেলোয়াড় কেড়ে নিয়েছে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও।
রিয়ালের এই ছিনতাইকৃত খেলোয়াড়টির নাম মারিয়ানো ডিয়াজ মেজিয়া। গত বছরের জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত ছিলেন রিয়ালেরই খেলোয়াড়। লস ব্লাঙ্কোসদের যুব দলের হয়ে আলো কাড়লেও মূল দলে সুযোগ না পেয়ে চলে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের দল লিওঁতে। লিগ ওয়ানে ৩৪ ম্যাচে ১৮ গোল করে টার্গেট হয়েছিলেন বড় বড় ক্লাবের।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন রিয়ালের জন্য একজন যোগ্য ‘নাম্বার ৯’ খুঁজে ফেরা হুলেন লোপেতেগি বড় কোনো খেলোয়াড়ের পেছনে না ছুটে চেয়েছিলেন ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরাতে। কিন্তু ডিয়াজকে দলে আনবেন কী আনবেন না এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পৌঁছুতেই তৃতীয় পক্ষ হয়ে ঢুকে যায় সেভিয়া।
লিওঁর সঙ্গে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তি প্রায় সেরেই ফেলেছিল লা লিগার দল সেভিয়া। ডিয়াজও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন সেভিয়ার হয়েই লা লিগা মাতাবেন। এমন সময় ডাক পড়ে পুরনো ক্লাব রিয়ালে। তাই সব ঝেরে ফেলে শৈশবের দলে ফিরতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডমিনিক রিপাবলিকের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী তারকা।
লিওঁর সঙ্গে চুক্তি থাকায় মূল দামের ৩৫ শতাংশ কমে ডিয়াজকে দলে ফেরাচ্ছে রিয়াল। সেভিয়ার সঙ্গে চুক্তিকৃত দামের চেয়ে ১২ মিলিয়ন কম দামে; অর্থাৎ, ২৩ মিলিয়ন কম দামে ঘরের ছেলেকে ফেরত পাচ্ছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
এতে রিয়াল খুশি হলেও ক্ষোভে ফেটে পড়ছে সেভিয়া। এভাবে মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়ায় এই দলবদলকে তুলনা করেছে রীতিমত ‘ছিনতাই’য়ের সঙ্গে।