চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বার্মিংহামে পাউন্ডের ছড়াছড়ি!

বিশ্বকাপ দিনলিপি-১২

বার্মিংহাম থেকে: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের সময় যত ঘনিয়ে আসছে টিকিট নিয়ে দেন-দরবার তত বাড়ছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রবাসী বাঙালিদের যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা এখন পকেট ভারী করে হন্যে হয়ে ঘুরছেন আর মুখে জপছেন- যেকোনো মূল্যে ২ জুলাই এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে থাকা চাই। ৬০ পাউন্ডের টিকিট কালোবাজারে ২০০ পাউন্ডে কিনেও আনন্দে আত্মহারা অনেকে।

গোল্ড, প্লাটিনাম ক্যাটাগরির টিকিটের দাম আরও চড়া। ভিন্ন উপায়ে সেটি কিনে নিতে খরচ করতে হবে ৩০০ পাউন্ডের কাছাকাছি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

টাইগার ভক্তদের জন্য বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট এখানে সোনার হরিণ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অনলাইনে মুহূর্তেই শেষ হয়ে গিয়েছিল এজবাস্টনের এই ম্যাচের টিকিট। যার দুই-তৃতীয়াংশ ভারতীয় সমর্থকদের দখলে। শেষবেলায় খেলা দেখার তাড়নায় বাংলাদেশি দর্শকদের রাতের ঘুম হারাম। পাউন্ড আছে টিকিট নেই! নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়ে কেউ কেউ ক্রিকেটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন উপায় না দেখে।

শুক্রবার বিকেলে টিম হোটেলের নিচে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কাছে এলেন তার আত্মীয়ের আত্মীয়। সৈকত চারটি সৌজন্য টিকিট দিয়ে বললেন অনেক কষ্ট করেই সংগ্রহ করতে হয়েছে। যাওয়ার সময় আত্মীয়ের আত্মীয়রা জোর করে হাতে কয়েক প্যাকেট চকলেট ধরিয়ে দিলেন এ তরুণকে। অন্য ক্রিকেটারদের কাছেও আছে টিকিটের এমন চাহিদাপত্র।

মঙ্গলবারের ম্যাচে এজবাস্টনে ভারতের সমান দর্শক সমর্থন পাবে না বাংলাদেশ। তবে ব্যবধান কতটা কমিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রবাসী বাঙালিরা। তাতে টিকিটের মূল্য যতই লাগুক!

জনসংখ্যা ও ক্রিকেট প্রীতির কারণে টিকিট সংগ্রহে সারাবিশ্বেই এগিয়ে থাকে ভারত। বিশ্বকাপ এলে তো কথাই নেই। রোববার এজবাস্টনে ভারতের ম্যাচ ইংল্যান্ডের সঙ্গে। স্বাগতিক দেশের দর্শকের চেয়ে মাঠে ভারতের দর্শক বেশি দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের দর্শকরা সংখ্যালঘু হলেও সবাই একসঙ্গে মিছিল করে মাঠে ঢোকার প্রস্তুতি নেয়ায় বইছে উৎসবের আমেজ।

ইংল্যান্ডের সব মাঠেই বাংলাদেশ পেয়েছে প্রবাসী দর্শকদের বিপুল সমর্থন। গ্যালারি মাতিয়ে সমর্থকরা হয়ে ওঠেন ম্যাচের ‘টুয়েলভথ ম্যান’। মাশরাফী-সাকিবরাও শক্তি হিসেবে দেখেন এটিকে।

মিরপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটের দর্শকদের সঙ্গে প্রবাসী দর্শকদের কিছুটা পার্থক্য আছে। ৮ হাজার মাইল দূরে থাকেন বলে দেশের জন্য অন্যরকম টানও অনুভব করেন তারা। এখানে তারা খেলোয়াড়দের দাওয়াত করে খাওয়াতে চান, দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখাতে চান, করতে চান নানা আয়োজন।

টাইগারদের একটু কাছাকাছি থাকতে হাজার পাউন্ড খরচ করে অনেকেই উঠেছেন বাংলাদেশের টিম হোটেলে। কিছুটা কথাবার্তা, উৎসাহ দেয়াই বড় তাদের কাছে। বাংলাদেশি আবেগের কাছে পাউন্ড এখানে সত্যিই নস্যি!