সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সবসময় অপ্রতিরোধ্য রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়লেও অদ্ভুত শক্তিবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখে লস ব্লাঙ্কোসরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি, চেলসি ছাড়াও প্রমাণ আছে অনেক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। রিয়াল-দুর্গে সাদা জার্সিধারীদের এমন ফেরা ঠেকানো অসম্ভব বলেই মনে করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসাস।
মঙ্গলবার রাতে ইউরোপ সেরার মঞ্চে সেমিফাইনালে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। ৪মে পরের লেগে বার্নাব্যুতে আতিথেয়তা নেবে পেপ গার্দিওলার সিটিজেন শিষ্যরা। তার আগে সিটি ফরোয়ার্ড জেসাস বললেন, রিয়ালের প্রত্যাবর্তন ঠেকানো অসম্ভবই।
প্রিমিয়ার লিগে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে একহালি গোল দেয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘আপনি এই প্রত্যাবর্তন থামাতে পারবেন না। রিয়াল মাদ্রিদ শুধু ক্লাবই নয়, তাদের প্রায় সব খেলোয়াড়ের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটে খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার রয়েছে। এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’
ফুটবলে ঘরের মাঠে প্রত্যেক দলই শক্তিশালী, অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রতিপক্ষকেও খাওয়াতে পারে নাকানি-চুবানি। সেক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে স্পেনের রাজধানীর ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে শুরুর লেগ হারার পর দ্বিতীয় লেগে করিম বেনজেমার হ্যাটট্রিকে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন গল্প লিখেছে রিয়াল। একই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চেলসির বিপক্ষেও। যোগ করা সময়ে নিশ্চিত হয় ইউরোপ সেরার শেষ চার। আনচেলত্তি ম্যাচ শেষে জানিয়েছিলেন, বার্নাব্যুতে বল নাকি রিয়ালের কথা শোনে।
ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড জেসাস বার্নাব্যুর বিষয়টি সমীহ করলেও রিয়ালকে ছাড় না দেয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলকে টপকে শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবেই আছে গার্দিওলার সিটি। দল ও খেলোয়াড়রা আছে বেশ ছন্দে।
জেসাসের বিশ্বাস তাই নিজেদের শক্তিমত্তায়, ‘আমরা আমাদেরও বিশ্বাস করি। গত বছর ফাইনাল খেলেছি এবং দুর্ভাগ্যবশত হেরে গেছি। কিন্তু সেখানে পৌঁছেছিলাম।’