অ্যাশেজের প্রথমদিন ছিল সাপ-লুডোর খেলার মতো। এ রকম একটি দিনের উত্থান দেখিয়েছিলেন তিনি, যিনি এক বছর আগে তলিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি স্টিভেন স্মিথ। ব্যাটসম্যানদের চরম ভরাডুবির মুহূর্তে টেল এন্ডারদের আড়াল করে যে ইনিংস খেলেছেন তা ‘অমর’ তকমা পাওয়া উচিত নিঃসন্দেহে!
ব্রড-ওকসের গোলাগুলির সঙ্গে এজবাস্টনের গ্যালারি থেকে নিরন্তর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। তার মধ্যেই ব্যর্থ হন ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রফট। সেসময়ই ১৪৪ রানের কাব্যিক ইনিংসটি খেলে কটাক্ষের জবাব দেন স্মিথ।
বার্মিংহামে ম্যাচের দ্বিতীয়দিন স্মিথের সেঞ্চুরির জবাব দিলেন ররি বার্নস। তবে স্মিথের মতো বিপদ-সঙ্কুল অবস্থায় ব্যাট করতে হয়নি ইংলিশ ওপেনারকে। বার্নসের ক্যারিয়ারের প্রথম শতকে ভর করেই অবশ্য শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়দিনের শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৪ উইকেটে ২৬৭ রান।
বিনা উইকেটে ১০ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। তবে শেষের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো ছিল না ইংলিশদের। স্কোরবোর্ডে ১২ রান যোগ হতেই শুক্রবার আউট হয়ে যান জেসন রয় (১০)। বিশ্বকাপ হিরো তার অ্যাশেজ ইনিংসটা নিজের মতো করতে পারলেন না। তিন বছর পর দলে ফেরা জেমস প্যাটিনসনের বলে রয়ের ক্যাচ নেন অজিদের ব্যাটিংয়ের নায়ক স্মিথ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ১৩২ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার চিন্তা বাড়ান বার্নস-রুট। দুজনেই ফিফটি তুলে দিব্যি এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফিরতে হয় ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুটকে। ঠাণ্ডা মাথার রুটকে দারুণ এক রিটার্ন ক্যাচে ফেরার দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আরেক অজি পেসার পিটার সিডল।
পরে দ্রুত জোড়া আঘাতে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরান প্যাটিনসন ও প্যাট কামিন্স। ১৮ রান করা জো ডেনলিকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন প্যাটিনসন। আর কামিন্সের বলে বেনক্রফটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জস বাটলার।
সেখান থেকেই ব্যাটে আলো জ্বেলে ইংলিশদের পথ দেখান বার্নস। তাকে সঙ্গ দেন সহ-অধিনায়ক বেন স্টোকস। চরম ধৈর্য্যের পরীক্ষায় পাস করে ২২৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন বার্নস। আগে দুবার ফিফটি করলেও এই প্রথম তিনঅঙ্ক স্পর্শ করলেন। সেঞ্চুরি তুলে ১২৫ রানে অপরাজিত আছেন। স্টোকস অপরাজিত ৩৮ রানে। দ্বিতীয়দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে মাত্র ১৭ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। দেখছে বড় লিডের স্বপ্ন।