রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে রবিবার শুল্ক গোয়েন্দারা পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ টি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করেছে। এসব গাড়ির মধ্যে আছে দুটো সিডান ও দুটো জিপ। প্রযোজ্য শুল্কসহ গাড়ির মেট মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
সিডান গাড়ি হলো অডিএ৫, মারসিডিজ ই২৪০ এবং দুটো জিপের একটি মারসিডিজ এমএল৩৫০ ও বিএমডব্লিউ এক্স৫। গাড়ির চেসিস হলো Audi car WAZZZ8IXA073600, BMW X5 WBAB32000LH62214, Mercedez car WDC1631542X706385 and Mercedez Jeep WBAFB32000LH62214।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক বিশেষ অভিযানের কারণে ফেলে রাখা হয়। গাড়িগুলো স্বদেশ মটরসের তত্ত্বাবধানে পাওয়া যায়। বারিধারার জে ব্লকে রোড ৮ এ খোলা আকাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে মারসিডিজ জিপে অন্য একটি গাড়ির নম্বর প্লেট ঢাকা মেট্টো ঘ ১১- ৮০৮৯ যুক্ত পাওয়া যায়। বিআরটিএ-র সাথে যাচাই দেখা গেছে এটি একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি মেসার্স ফারইস্ট ড্রেস লি: এর নামে ‘টয়োটা ফরচুনা’ জিপ হিসেবে নিবন্ধিত। অন্য মারসিডিজ সিডান কারের প্লেটে ‘এএফআর’ লেখা আছে।
অন্য দুটো গাড়িতে কোন নম্বর প্লেট নেই। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় মেরামতের নাম করে ড্রাইভার দিয়ে এগুলো স্বদেশ মটরসের গ্যারেজে রাখা হয়। কিন্তু কেউ পরে নিতে আসেননি। অভিযানের আশঙ্কায় এগুলো ফেলে রাখা হয়েছে মর্মে প্রাথমিক তথ্যে পাওয়া যায়।তত্ত্বাবধানকারী স্বদেশ মটরসের থেকে আরো তথ্য নিয়ে মালিকদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।
দশদিন আগে তেজগাঁওয়ে মাল্টিব্রান্ড মটরসের ওয়ার্কশপ থেকে একইভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিএমডব্লিউ এক্স৫ গাড়ি আটক করা হয়। এসব গাড়ির অধিকাংশ কম সিসি ঘোষণা দিয়ে অথবা কারনেটের মাধ্যমে বা শুল্ক সুবিধার অপব্যবহার করে আনা। শুল্ক গোয়েন্দা সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এসব গাড়ি আইনের আওতায় আনছে।
কেবল কারনেট সুবিধার অপব্যবহার করে এখনো শতাধিক গাড়ি খুঁজছে শুল্ক গোয়েন্দা।