মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ৭৩-তম বাফটা অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন তালিকা। সেখানে ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে টোড ফিলিপসের বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘জোকার’। যার মধ্যে সেরা ছবি, পরিচালক এবং অভিনেতার মনোনয়ন রয়েছে।
কোয়েন্টিন টারান্টিনোর ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড’, মার্টিন স্করসিসের ‘দ্য আইরিশম্যান’ ১০টি বিভাগে মনোনীত হয়েছে।
বাফটা অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মনোনয়ন তালিকায় কোনো কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতার নাম নেই। সেরা নির্মাতার ক্যাটাগরিতে গত ছয় বছরের মতো এবারও কোনো নারী নির্মাতার নাম নেই। তাই বাফটা কি কৃষ্ণাঙ্গ এবং নারীদের বর্জন করেছে কিনা, এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।
বাফটার সি.ই.ও. অ্যামান্ডা বেরি জানিয়েছেন, মনোনয়নে এমন বৈচিত্রহীনতা দেখে তিনি খুব হতাশ। তিনি জানিয়েছেন, ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে সুযোগ না পেলেও নারী নির্মাতার নাম আছে শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে।
গত এক দশক ধরে বাফটার সেরা অভিনেতা/অভিনেত্রী, সহ অভিনেতা/সহ অভিনেত্রী ক্যাটাগরির মনোনয়নে মাত্র ৫ শতাংশ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। এটা গেলো শুধু বাফটার হিসাব। অন্যান্য পুরস্কারের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এরকমই বৈষম্যমূলক।
সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ওমেন ইন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম এর ডিরেক্টর মারথা লজেন ১৯৯৮ সাল থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের কর্ম সংস্থানের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে ২০১৯ সালে মাত্র ২৫০টি ভালো আয় করা সিনেমার মাত্র ১৩ শতাংশ নারী নির্মাতার। এই ২৫০টি সিনেমার সাথে আরও যেভাবে নারীরা যুক্ত ছিলেন:
১৯% লেখক
২৭% প্রযোজক
২১% নির্বাহী প্রযোজক
২৩% সম্পাদক
৫% সিনেমাটোগ্রাফি
মারথা লজেনের মতে সিনেমায় নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ার পরেও এমন চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে ২২ বছর আগে নারীদের সম্পৃক্ততা আরও হতাশাজনক ছিল। সেরা ২৫০টি সিনেমার ক্ষেত্রে নারী নির্মাতা ছিলেন ৯%। নারীদের সম্পৃক্ততার যেরকম ছিল:
১৩% লেখক
২৪% প্রযোজক
১৮% নির্বাহী প্রযোজক
২০% সম্পাদক
৪% সিনেমাটোগ্রাফি
২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পুরুষরা বিভিন্ন কাজের জন্য অন্য পুরুষকে বেশি বিশ্বাস করেন এবং কাজে নেন। তাই নারীদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রেও।
২ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনে ঘোষণা করা হবে ৭৩ তম বাফটা পুরস্কার। -বিবিসি