তামাক চাষ থেকে দিনে দিনে সরে আসছেন বান্দরবানের কৃষক।
গত বছর যে সব জমিতে তামাক ছাড়া অন্য কিছুর দেখা মেলেনি, এ বছর সে সব জমিই ভরে উঠেছে শিম ও অন্যান্য শীতকালীন সবজিতে।
কৃষক জানান, তামাক চাষ আর দফায় দফায় বন্যায় বিপর্যয় নেমে এসেছে বান্দরবান সদরসহ জেলার সাত উপজেলায়। তামাকের চুল্লিতে কাঠ জ্বালানোর কারণে পাহাড় হয়ে পড়ছে গাছশূন্য।
এ বিপর্যয় রোধে কৃষক নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড়ী জমিতে শিম আবাদের।
একজন কৃষক বলেন, বারবার বন্যা হওয়ার পর আমি এখন শিম চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি।
আরেকজন বলেন, শিম চাষে খরচ কম। ফলনও ভালো হয়েছে। ভালো লাভ হওয়ায় আমরা খুশি।
গত বছরের চেয়ে এবার এক হাজার ২’শ মেট্রিক টন অতিরিক্ত শিম উৎপাদন হয়েছে।
কেঁচো সার ব্যবহার করায় করায় শিমের ভালো ফলন পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বান্দরবান সদরের কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, কেঁচো সার সাধারণত অন্যান্য সারের কাজ করে। মাটিকে ঠান্ডা রাখে। গত বছরও এটার তেমন কোনো প্রচলন ছিল না। তবে এ বছর এটার ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে।
দাবি জানিয়েছেন সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের তামাক চাষ থেকে সরে আসা চাষীরা।