কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিতের অভিষেক ‘সাথী’ থেকে শুরু করে সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রেম করেছি বেশে করেছি’ পর্যন্ত নব্বই ভাগ ছবিই কোনো না কোনো দক্ষিণ ভারতীয় ছবির রিমেক। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক পাওয়া জিৎ সেই দক্ষিণ ভারতীয় ছবির রিমেক করছেন ‘বাদশা’ ছবিতে।
জিতের সর্বশেষ চুক্তিবদ্ধ ছবি ‘বাদশা’। টালিগঞ্জের প্রভাবশালী প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজ ও বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে এ ছবিটি।
‘বাদশা’ ছবির জন্য জিতকে এক কোটি বিশ লাখ টাকার বিনিময়ে পেতে হচ্ছে। বড় বাজেটের এ ছবিতে অবশ্য জিতের সঙ্গে ‘আশিকি’ খ্যাত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রথমে তাদের আরেক আবিস্কার জলিকে নাকি পছন্দ করেছিলেন জিৎ। জিতের পছন্দ পরে বদলে যায়!
তবে ‘বাদশা’ ছবিতে প্রথমে শাকিব খানের নাম প্রতিষ্ঠান চিন্তা করলেও পরে তা বাদ দিয়ে কিছু নতুনত্ব আনার জন্য কলকাতার হিরোকে আনা হয়ছে।
কারণ তেলেগু ভাষায় জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘বাদশা ’ রিলিজের পর এই নামটির প্রতি অনেকের আগ্রহ জন্মে। এছাড়া ‘বস’র ছবির পর জিতকে ‘বাদশা’ হিসেবেই মানায়। আর সেকারণেই তাকে নেওয়া।
এ ছবিটি যেমনভাবে দক্ষিণ ভারত থেকে উৎসারিত হয়েছে, ছবির গল্পও ‘মেড ইন সাউথ ইন্ডিয়া’। জিতের অধিকাংশ ছবির মতো এ ছবির গল্পও রিমেক।
২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন সিনু’ নামের একটি তেলেগু ছবির রিমেক হচ্ছে ‘বাদশা’। ‘ডন সিনু’ছবিতে নায়ক ছিলেন রবি তেজা। যার ‘বিক্রমাকুড়ু’থেকে বলিউডে হয়েছে ‘রাউডি রাঠোর,‘কিক’থেকে হয়েছে সালমান খানের ‘কিক’। ‘ডন সিনু’ ও নাকি রিমেক হচ্ছে হিন্দিতে। সালমান খান কিংবা সাইফ আলী খান অভিনয় করতে পারেন সে ছবিতে।
‘ডন সিনু’ ছবিতে নায়িকা ছিলেন শ্রিয়া সরণ। ‘শিবাজি’, ‘আওয়ারা’, ‘দৃশ্যম’ ছবিতে অভিনয় করে যিনি উপমহাদেশের পরিচিত মুখ। ছবিতে আরেক নায়িকা ছিলেন অঞ্জনা সুখানি। একটি মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন শ্রীহরি।
‘ডন সিনু’ ছবিতে রবি তেজা ‘ডন’ ছবি দেখে অমিতাভ বচ্চনের ডাই-হার্ড ফ্যানে পরিণত হন। ডন হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তিনি বড় হোন। একসময় ডন শ্রীহরির ঘনিষ্ঠ হোন রবি। তার বোনকে ভালোবেসে ফেলেন।
এদিকে শ্রীহরির গার্লফ্রেন্ড ও তার সন্তানের মা আবার রবির বোন লক্ষ্মী। শেষ পর্যন্ত ডন হতে পারে কিনা রবি তাই নিয়ে ছবির গল্প।
অন্যদিকে ‘বাদশা’ ছবির কাহিনী সাজানো হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মান্নার ভীষণ ভক্ত থাকে জিৎ তার প্রতিটি সিনেমা দেখেন তিনি। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
এখন দেখার পালা কলকাতা দর্শকদের মতো ঢাকাই দর্শকরা কতোটুকু গ্রহণ করতে পারে জিতকে। এবং দক্ষিণ ভারতীয় ছবির রিকেমই বা কতোটুকু সাফল্য নিয়ে আসতে পারে। দেখার জন্য অবশ্য খানিকটা সময় লাগবে।