চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাদল রায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তিনবারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি বাদল রায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী মাধুরী রায়।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে করা গত ২৬ মে ওয়ারী থানায় এ সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি স্বীকার করে মাধুরী রায় চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: গত বছর বাদল রায় প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন। সম্প্রতি বাদল রায়কে নিয়ে তার স্ত্রী মাধুরী রায়ের সঙ্গে বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের মোবাইল ফোনে বেশ কথা কাটাকাটি হয়, যা বাদল রায়ের জীবনের হুমকি মনে হয়েছে।

এ কারণে বাদল রায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করতে বাধ্য হয়েছেন মাধুরী রায়।

সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মার্চের ২৬ তারিখ বেলা ৩টায় আবু নাঈম সোহাগ মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকির স্বরে বলেন, বাদল রায় যেন ফেডারেশনে না আসেন। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তিনি (বাদল রায়) যদি আসেনও, তাহলে এসে এক চা খেয়ে চলে যাবেন, এর বেশি নয়। আমার স্বামী তিন তিনবারের ফুটবলে ফেডারেশনের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ ধরনের ফোন আমার কাছে হুমকি ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস বলে মনে হয়। তাই আমার স্বামীর সম্মান ও জীবনের ব্যাপারে আতঙ্কে আছি।’

বৃহস্পতিবার মাধুরী রায় এ বিষয় নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘মার্চের শেষের দিকে একবার সোহাগ ফোনে আমার কাছে অভিযোগ করেন, বাদল নাকি ফেডারেশনে গিয়ে সবার সঙ্গে এবং পিয়ন-কর্মচারীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। ওনার এগুলোর দরকার কী! তিনি অসুস্থ। ফেডারেশনে আসবেন, বসবেন, চা খাবেন এবং গল্পগুজব করে চলে যাবেন। এসব করতে গিয়ে যদি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে কে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাবে।’

আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন: ‘যেহেতু বাদল ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, সে কারণে বাফুফের বিভিন্ন কাজের ত্রুটি নিয়ে তিনি কথা বলতে চান। কিন্তু সে তো ফুটবল ফেডারেশনে চা খাওয়ার জন্য যায় না। সে সারাটা জীবন ফুটবলের পেছনে ব্যয় করেছে। এমনকি ফুটবলের কারণে বাদল সংসারেও ঠিক মত সময় দেয়নি। তো ফুটবলের কোনো জায়গায় কোনো সমস্যা হলে সেগুলো নিয়ে তো সে কথা বলবেই! আর কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ সে করতে পারে না। আমি এটা বিশ্বাস করি না। কারণ, সে এত ছোট মনমানসিকতার মানুষ নয়। পরে আমি সোহাগকে বলি, সোহাগ তুমি একটা কাজ কর, তুমি সালাউদ্দিন ভাইকে বলো, তিনি তো বাদলের বড়। তিনি কোনো সমস্যা মনে হলে সেটা নিয়ে বাদলকে ডেকে কথা বলুক।’

‘এরপর আমি নিজেই চলতি মাসের ২৬ তারিখ বাফুফে সভাপতিকে ফোন করি বিষয়ে কথা বলার জন্য। সালাউদ্দিন ভাই নিজেও সোহাগের কথাগুলোই আমাকে বলে।’

মাধুরী রায় আরো বলেন: ‘ফুটবল ফেডারেশনের কেউই এখন আর তার সঙ্গে নেই। ফুটবল ফেডারেশনে গেলে বাদল যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য কাউকে পাবে না। তার জীবনটাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে।’

‘সালাউদ্দিন ভাইয়ের এসব কথা আমার ভাল লাগেনি। পরে ওয়ারী থানায় গিয়ে আমি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করি।’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, দু’জনই এই মুহূর্তে সৌদি আরব অবস্থান করছেন।