বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের মতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তদেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য উদ্যোগ কেবল ব্যবসায়িদের জন্য জরুরি-এমন নয়।
তিনি বলেন: এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বাড়ানোর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও।
আজ মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় এবং ভারতের জয়পুরভিত্তিক কনজিউমার ইউনিটি এন্ড ট্রাস্ট সোসাইটি (কাটস) ইন্টারন্যাশনালের যৌথ আয়োজনে ‘বিবিআইএন দেশগেুলোর মধ্যে বাণিজ্য সহজিকরণের জন্য মাল্টি-মোডাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক, পরিবহন ও মহাড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব- নীলিমা আক্তার; বিআইডব্লুটিএ’র চেয়ারম্যান- কমোডর গোলাম সাদেক, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, আইবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট- মাতলুব আহমেদ, ওরিয়েন্টাল সি ওয়েজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক-শেখ মাহফুজ হামিদ, প্রাণ গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরিসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র, পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অংশিজন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশ নেন।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা। তিনি বাংলাদেশে চারটি স্থল বন্দর, চারটি নদী বন্দর, তিনটি সমুদ্র বন্দর এবং একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এসব স্থানে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সহজিকরণের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সহজিকরণের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনার দিকে আরও নীতি-মনযোগ দরকার রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবেশি দেশ (যেমন- ভারত, নেপাল ও ভুটান) এর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার বলে মনে করেন সিপিডির ড. মোয়াজ্জেম।
কারণ, এতে বাংলাদেশের পাশাপাশি এই প্রতিবেশি দেশগুলোও উপকৃত হবে। কমোডর গোলাম সাদেক তার বক্তব্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের ভূমিকার ওপর জোর দেন।
আইবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাতলুব আহমেদ টেকসইভাবে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সহজিকরণের জন্য সকল অংশীজনের অংশগ্রহণের আরও বেশি গবেষণা ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বিবিআইএন-এর সকল দেশের সকল অংশীজনকে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সামনে রেখে আরও বেশি সহযোগিতামূলক মানসকিতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।