চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাজেট প্রত্যাখ্যান করলো বিএনপি

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ধোঁকাবাজি, লুটপাটের এবং নির্বাচনী বাজেট দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

এ সরকারের বাজেট প্রস্তাবেরও কোনো এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছে দলটির নেতারা।

বৃহস্পতিবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী বছরে ভোটের আকর্ষণের জন্য এত বড় ঘাটতির একটি বিশাল বাজেট দেয়া হয়েছে। মূলত জনগণের সাথে প্রতারণা করে ভোটে আকৃষ্ট করার জন্য এ বাজেট।

‘তাই এটা নির্বাচনী বাজেট। ভোট আকর্ষণের বাজেট। জনগণের স্বার্থের বাজেট নয়। এছাড়া এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সক্ষমতাও নেই এবং প্রশাসনিক দক্ষতাও নাই। সুতরাং এটা বাস্তায়নযোগ্য নয়।’

তিনি বলেন, আমরা (বিএনপি) এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এই বাজেট জনগণের কোন উপকারে আসবে না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার আজকে একটি বাজেট দিয়েছে। ইতিমধ্যে এ বাজেট সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে মূল্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে উন্নয়ন বাজেট হচ্ছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি হচ্ছে, ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

“এই ঘাটতি, যেটা বাজেটের এক-চতুর্থাংশের বেশি। এই ঘাটতি বাজেট কেনো দেয়া হয়েছে? রাজস্ব, সরকারি খরচ এবং সরকারি বেতন কমানো যায় না। আসলে এখানে উন্নয়নের জন্য সেই পরিমাণ কোন টাকা-পয়সা নেই”।

তিনি বলেন, আজকে স্বৈরাচার সরকারের অর্থনৈতিক ভুল নীতির কারণে এবং স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই ব্যাংকগুলোকে যদি সরকারকে আবার ঋণ দিতে হয় তাহলে ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলো প্রাইভেট সেক্টরে কোন ঋণ দিতে পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঋনের বোঝা বাড়িয়ে সরকার এত বড় ঘাটতি বাজটে দিয়েছে, ঋণ নির্ভর একটি বাজেট। এতে জনগণের উপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধি হবে। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের জন্য যে টার্গেট করা হয়েছে, সেটাও সম্ভব হবে না। জনগণের পকেট থেকেই এ ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট সুন্দর নীল রঙের একটি বেলুন। এটার ভিতরে কিছু নাই। এটা একটি গতানুগতিক বাজেট।

নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বাজেট দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ।

মওদুদ বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচিত না। তারপরেও এই সরকারের গুন্ডামি, সন্ত্রাস মেনে নিতে হচ্ছে আমাদের। আজ যে বাজেট তথাকথিত অর্থমন্ত্রী পেশ করছে, এটা ধোঁকাবাজি বাজেট, অনৈতিক সরকারের লুটপাট করার বাজেট।

তিনি বলেন, গত বছর প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার কম বাজেট ছিল। এবছর এটা বাড়িয়েছে বৃহৎ বাজেটের নাম করে। আসলে তাদের মূল লক্ষ্য হলো লুটপাট করা। এজন্য এ বাজেট সাধারণ মানুষের কাজে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুও প্রস্তাবিত বাজেটকে ধোঁকাবাজি ও লুটপাটের বাজেট উল্লেখ করে বলেন, এই বাজেট লোক দেখানো। বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এই অবৈধ সরকার ৮০০০ কোটি টাকা বাজেটে পদ্মা সেতু শুরু করেছিল। এখন সম্ভবত ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে আসলে তাদের মূল লক্ষ্য হলো লুটপাট করা। এটা যখন (পদ্মা সেতু) শেষ হবে তখন কত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে তা বলা মুশকিল।

বর্তমান বাজেট সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে অফিসিয়ালিভাবে বলা হবে বলেও জানান তিনি।