আগামী বছরের জন্য প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসোরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) কোনো সুবিধা পায়নি বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিন্সি হোটেলে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিএপিএমইএ হলো পূর্ণাঙ্গ পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি উৎপাদনকারীদের সংগঠন।
তিনি বলেন, বাজেটে বিজিএপিএমইএ-র পক্ষ থেকে বিবেচনার জন্য যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তার একটি পয়েন্টও রাখা হয়নি। এই বাজেট থেকে আমরা কিছুই পাইনি।
রাফেজ আলম বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করা হলেও গার্মেন্টস অ্যাক্সেসোরিজ খাতে কোনো নগদ প্রণোদনা দেয়া হয় না।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, এ শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশই সরবরাহ করা হয় তৈরি পোশাক খাতে। এসব পণ্যে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৭ গুণ। কিন্তু উৎপাদিত পণ্যের দাম কমে গেছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক শিল্পে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ হলেও তা গার্মেন্টস অ্যাক্সেসোরিজ খাতে ৩৫ শতাংশ। এই হার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু বাজেটে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
গার্মেন্টস অ্যাক্সেসোরিজ খাত তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য প্রায় ৪০ ধরনের সহায়ক পণ্য উৎপাদন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক সময় পোশাক তৈরির আনুষঙ্গিক পণ্য বিদেশ থেকে আনা লাগতো। আনতে সময় লাগতো প্রায় দেড় মাস। এতে সময়মত ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ পাঠাতে পারতো পোশাক রপ্তানিকারকরা। কিন্তু এসব পণ্য এখন দেশে উৎপাদন হওয়ায় ২/৩ দিনের মধ্যেই ক্রেতাদের আদেশকৃত মালামাল পাঠাতে পারছেন পোশাক উৎপাদনকারীরা। ফলে আগের চেয়ে ক্রেতাও বাড়ছে। রপ্তানিও বাড়ছে। কিন্তু এ খাতে করপোরেট কর কমানো হয়নি। এতে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন। ফলে প্রায় ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের এই খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আব্দুল কাদের খান বলেন, এ খাতে বর্তমানে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ রয়েছে। এই হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়েও বাজেটে কোনো নির্দেশনা দেখা যায়নি। তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ করপোরেট কর হার ১৫ শতাংশ এবং উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে খাতটিকে রক্ষা করা হোক।
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাদের উৎপাদিত পণ্যে মান যাচাইয়ে একটি টেস্টিং ল্যাবরেটোরি স্থাপনেরও অনুরোধ করা হয়।