জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মিড ডে মিল, উপবৃত্তির অর্থ বৃদ্ধি, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষসহ সার্বিক উন্নয়নের দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
সোমবার টাঙ্গাইলের গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষা বাজেটের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে বাজেট ভাবনা নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষের কৃষি বাজেটের আদলে শিক্ষা বাজেটের এটি তৃতীয় আয়োজন।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ছাড়াও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে শিক্ষা খাতের নানা বিষয়।
স্থানীয় একজন অভিভাবক বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা আছে জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে হবে। এবছর তা কতটুকু বাড়তে পারে বলে তারা তা জানতে চেয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ শিক্ষকদের মান সম্মত বেতনের বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়।
আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, আসন্ন বাজেটে যেন শিক্ষকদের অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। তারা আরো বলেন, শিক্ষকদের স্বল্পতায় অন্যান্য শিক্ষকরা কোনো বিশ্রামের সুযোগ পান না।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম থাকলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে পারেনা বলে জানান টাঙ্গাইলের শিক্ষকরা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের স্কুলে বিজ্ঞানাগার থাকলেও সেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একে আজাদ চৌধুরীসহ অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, টাকার সংকুলানের জন্য এমপিও ভুক্ত করা যায় না, যন্ত্রপাতি দেয়া যায় না, অবকাঠোমগত উন্নয়নও করা যায় না।
বক্তারা আরো বলেন, এসব কিছু বিবেচনা করে সরকার এবছর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। শিক্ষায় বেশি অর্থ বরাদ্দ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বড় বিনিয়োগ।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন বলেন, এবার বাজেটে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য সমান শিক্ষার সুবিধা পৌঁছানোর দাবি করবেন তারা।
শিক্ষা বাজেটের পরবর্তী অনুষ্ঠান হবে খুলনার ফুলতলার রি-ইউনিয়ন মডেল স্কুল এ্যন্ড কলেজে।