প্রস্তাবিত বাজেটে গত দুই বছরের তুলনায় কৃষিখাতে বরাদ্দের হার কমলেও আকার বেড়েছে। বর্তমান ও আগামীর বিবেচনায় সরকারের নীতিপরিকল্পনায় এসেছে বৈরী জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা, নদী ও খালখননসহ কৃষি অনুকুল অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়।
বরাদ্দের হিসেবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৭ ভাগ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১ ভাগ আর আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এর হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭ ভাগ। বরাদ্দের হার কমলেও বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বেড়েছে ৫ হাজার ২‘শ ২২ কোটি টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন-অনুন্নয়ন মিলিয়ে বরাদ্দ ১৭ হাজার ২’শ ৫৯ কোটি টাকা। আর প্রণোদনা আছে গতবারের মতোই ৯ হাজার কোটি টাকা।
এবারও শুন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখা হয়েছে সার, বীজ, কীটনাশক আমদানিতে। মৎস্য, পোল্ট্রি ও দুগ্ধ শিল্পে খাদ্য সামগ্রি ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতি বহাল থাকছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতিতে ফসলের ২২টি নতুন জাত ও ২১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্য নির্ধারণের কথা।
কৃষির জন্য অনুকুল সেচ ও অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানোর অংশ হিসেবে বেশকিছু নতুন পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বলা হয়েছে হাওরের জন্য পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগের কথা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কৃষিখাতে সরকারের চলমান নীতি কৌশলের কার্যকরিতা পরীক্ষিত। আবাদযোগ্য জমি কমলেও ১০ বছরে কৃষিখাতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: