গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে বাজেটে বেশ কিছু নতুন ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। একেতো নির্বাচনী বছর তার ওপর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার চাপ। এই দুই এর মাঝে সমন্বয় আনতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
সংস্কার ও সুশাসন নামের নতুন একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি দমনে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা সরাসরি পৌঁছাতে ডাটাবেজ তৈরি এবং অনলাইনে বিল দাখিলের কাজ শুরু হবে। শিগগিরই সকল সরকারি কর্মচারীকে এ সুবিধার আওতায় আনার ঘোষণাও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে পেনশন ব্যবস্থাপনা, ই-চালান, সরকারী তহবিল থেকে সুবিধাভোগীর হিসাবে সরাসরি ভাতা প্রদান ও উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় পদ্ধতির সংস্কার আনার কথাও বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
সরকারি কর্মচারিদের উদ্যমী করার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গৃহ নির্মাণে ঋণ নীতিমালার করা হবে। এই নীতিমালার আওতার দেশের যে কোন স্থানে গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কিনতে ঋণ নেওয়া যাবে। এছাড়া আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুঁজিবাজার ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উদ্যোগের ঘোষণা এসেছে বাজেটে।
করমুক্ত আয়েরসীমা আগের মতো আড়াই লাখ টাকা রাখায় অপরিবর্তিত রাখলেও নতুন একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে বাজেটে। ব্যক্তি করদাতার প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে প্রতি সন্তান বা পোষ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আয় করমুক্ত হবে।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: