বাংলাদেশের দেওয়া স্বাধীনতা সম্মাননা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়িকে স্বাধীনতা সম্মাননা প্রদান করে বাংলাদেশ। অটল বিহারীর পক্ষে গত ৭ জুন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হাত থেকে ওই সন্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি।
আজ বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় সম্মাননা হস্তান্তর করার কথা জানান নরেন্দ্র মোদি। টুইট বার্তায় মোদি জানান, ‘অটল জির সঙ্গে দেখা করলাম। তার পরিবারের হাতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্মাননা হস্তান্তর করতে পেরে আনন্দিত।’
যে কারণে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা পেলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ক্ষমতায় ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী আর বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ি ছিলেন বিরোধীদলের নেতৃত্বে। তখন ভারতীয় রাজনৈতিক মহলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনতে ইন্দিরা গান্ধীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বাজপেয়ি।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতের লোকসভায় বাজপেয়ি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সংহতি জানান। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে লোকসভায় একটি প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। তাতে লেখা ছিলো: বাংলাদেশের জন্ম কেউ রোধ করতে পারবে না।
এরপর পুরো ভারতের জনসাধারণ যাতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় সেজন্য শুরু করেন সত্যাগ্রহ আন্দোলন। ওই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েই ভারতের আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্রাম থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন।
বাজপেয়ি প্রথম দফায় ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
কংগ্রেসের বাইরে থেকে তিনিই প্রথম নেতা যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। অটল বিহারি বাজপেয়ির জন্ম ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের গোয়ালিয়রে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে স্বাধীনতা সম্মাননা জানিয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছ থেকে বাজপেয়ির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।