বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা,
বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে
পড়ে মুক্তির মরণপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মণিকোঠা থেকে ১৯৭১ এর মার্চের সেই দিনগুলোকে তুলে ধরতে চ্যানেল আই অনলাইনের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।
৪ ঠা মার্চ, ১৯৭১। স্বাধীনতা আন্দোলনে গর্জে ওঠা বাঙালীর প্রতিবাদ আরো তীব্র হয়। চট্টগ্রামের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। অব্যহত থাকে বাঙালি-অবাঙালি সংঘর্ষ। দুই দিনে সংঘর্ষে মারা যায় দুইশতাধিক মানুষ।
সামরিক জান্তার গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে এই দিনও বাংলার সর্বত্র হরতাল পালিত হয়, বিক্ষুব্ধ শোভাযাত্রা, গায়েবানা জানাজা, সভা ও সর্বত্র নেয়া হয় স্বাধীনতার শপথ। বন্ধ থাকে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত। বন্ধ থাকে বিমান, রেল, লঞ্চ ও বাস সার্ভিস। ভেঙ্গে পড়ে পুরো বেসামরিক প্রশাসন।
তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, দেশের আপামর জনগণের মানুষোচিত কথাগুলো আমরা প্রস্তুত করছিলাম। এবং একেকটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আরেকটি আন্দোলন দিয়ে প্রস্তুতিতে আমরা সফল হয়েছিলাম।
দেশের খবর প্রচার করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বেতার টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বন্ধ করে দেন শিল্পীরা। রাজপথ মুখরিত থাকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মিছিলে। শহীদদের স্মরনে এদিন দুপুরে পল্টন ময়দানে হয় গায়েবানা জানাযা। মানুষের প্রতিরোধের মুখে ঢাকা থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সামরিক শাসক।
তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি নূর আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, আমরা ওত পেতে ছিলাম, এই খবর পেয়েই আমরা প্রচণ্ড বিক্ষভের সঙ্গে ঢাকায় দাবানলের মতো দাবিয়ে দিব।
লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই দিন এক বিবৃতিতে সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতা সার্বভৌত্বের দাবি জানান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ।