বাগেরহাটে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে গর্ভপাতের অভিযোগ করেছেন অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূ। ৮ জনকে অভিযুক্ত করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ ডালিয়া নওশিন পূরবী। তার অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা এখনো তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে রোববার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ ডালিয়া। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দুলাল ও তার সহযোগিরা পরিকল্পিত হামলা চালানোয় গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ডালিয়া। তিনি বলেন, যারা এইভাবে অত্যাচার করে আমার সন্তানকে নষ্ট করে দিছে তাদের বিচার চাই।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার বলেন, ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তি হয়েছে তার টিকিটে দেখলাম ইনকমপ্লিট এবোর্শন লেখা।
নির্যাতিত গৃহবধূ জানান, প্রতিবেশী দুলাল আকন তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে প্রায়ই মাদক সেবন করতো এবং তাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার প্রতিবাদ করলে দুলাল ও তার লোকজন তাকে এবং তার স্বামীকে মারধর করে।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী বলেন, ৬ তারিখ দুপুরে মোটরসাইকেল যোগে আমি আর আমার স্ত্রী বাসায় যাচ্ছিলাম। এই সময় বাসার একটু দূরে ত্রিশ চল্লিশ জন মিলে আমাদের উপর হামলা করে।
নির্যাতিত গৃহবধূর পিতা বলেন, আমি তাদের বিচার চাই। আমি আমার মেয়ে, মেয়ে জামাইয়ের নিরাপত্তা চাই। গৃহবধুর মাতাও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় ডালিয়া নিজে বাদি হয়ে দুলালসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো: মিজানুর রহমান খান বলেন, এই ঘটনায় তার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত মামলা নিয়েছি। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা এখনো তাকে এবং তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি এবং তার পরিবার ।