হঠাৎ করেই ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জরুরি ভিত্তিতে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। দেশের যে অংশেই থাকুক, সবখান থেকেই স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয় তাদের।
এ ঘটনায় প্রথমেই জনমনে আশঙ্কা দেখা দেয় রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপের স্বাস্থ্য নিয়ে। কেননা বিভিন্ন সময় প্যালেসের অধিবাসীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হলেও এভাবে হুট করে অল্প সময়ের নোটিসে সবাইকে ডেকে পাঠানোটা ‘খুবই অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে কর্মীদের ডেকে পাঠানোর মূল কারণটি প্রকাশ পায় স্থানীয় সময় সকালে। অবশেষে ডিউক অব এডিনবার্গ পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন প্রিন্স ফিলিপ। আগামী শরৎ, অর্থা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।
এই সময়ের মধ্যে আগে থেকে ঠিক করে রাখা কাজগুলো শেষ করবেন প্রিন্স ফিলিপ। তবে নতুন কোনো কাজের দায়িত্ব তিনি নেবেন না।
প্যালেস কর্মীদের ডেকে পাঠান রাজপরিবারের সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা, রানীর ব্যক্তিগত সচিব স্যার ক্রিস্টোফার গেইট।
১৯৯৭ সালের পর থেকে রাজপরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুর মৃত্যুতে বাকিংহাম প্যালেসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু রাতে মিটিং ডাকার পর থেকে এখন
পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত করা হয়নি।
তবুও রাজপরিবারের সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য হওয়ায় সবদিক থেকেই রানী এবং প্রিন্স ফিলিপের স্বাস্থ্য নিয়েই দুশ্চিন্তা করা শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত না হওয়ায় এ থেকে আশা করা হচ্ছিল, তারা দু’জনেই জীবিত আছেন। সেই আশাই সত্যি হয়েছে এবং প্রিন্স ফিলিপের অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্যই সবাইকে ডেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার রানী এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে দেখা করেন চলমান সংসদ বিলুপ্তি এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলার জন্য। টেরেসা মে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি সময়, আধঘণ্টারও বেশি রানীর সঙ্গে কথা বলেন।
অন্যদিকে রানীর স্বামী, ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপকেও বুধবার ফিতা কেটে একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে দেখা গেছে। এরপর হঠাৎ করেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমনভাবে প্যালেস কর্মীদের তলব করায় দু’জনের কোনো একজনের মৃত্যু আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশজুড়ে।