বাংলা ছায়াছবির ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র নায়ক সালমান শাহ’র ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো আজ। বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত এই অভিনেতা তার অনন্য অভিনয়ের সঙ্গে যুগোপযোগী আধুনিকতা দিয়ে অল্প সময়েই পরিণত হন ইতিহাসের অন্যতম গ্রহণযোগ্য অভিনেতা হিসেবে।
অভিনয় জীবনের শুরুটা আশির দশকে হলেও রূপালি পর্দায় সালমান শাহ’র অভিষেক ১৯৯৩ সালে। সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় মডেল সুন্দরী মৌসুমীর সঙ্গে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়েই বড়পর্দায় যাত্রা শুরু হয় সালমানের।
এর আগে ছোটপর্দায় আগমন ১৯৮৬ সালে হানিফ সংকেতের কথার কথা নামের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে একটি গানের মিউজিক ভিডিও’তে অপূর্ব চরিত্রের মধ্য দিয়ে। অভিষেকে সুপারডুপার হিট ছবির মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করা সালমান এরপর ছাড়িয়ে গেছেন ভালোর সব সীমানায়।
বাংলা ছায়াছবির প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাসে নায়ক রাজ রাজ্জাক এর পর সালমানই নিজেকে একমাত্র নায়ক হিসেবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
যদিও নিজের তারকা ইমেজকে বাংলা ছবির তথাকথিত নিয়মিত দর্শকের মধ্যে সীমিত না রেখে সার্বজনীন জনপ্রিয়তা পাওয়ার লক্ষ্য ছিলো এবং তাতে দুর্দান্তভাবে ভাবে হয়েছেন কালজয়ী এই নায়ক।
ক্যারিয়ার শুরুর পর মাত্র তিন বছরে সালমান অভিনয় করেছেন ২৭ টি ছবিতে যার প্রতিটিতেই দর্শকের ঢল নেমেছিলো প্রেক্ষাগৃহে। আচার-আচরণ, চলন-বলন-পোশাক-আশাকে সালমান নিজেকে পরিণত করেছিলেন আধুনিক যুবকের আইকন হিসেবে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ঝলমলে আলোয় উদ্ভাসিত হওয়া সালমানের জীবন।
প্রিয় সালমানের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সেই বিষাদ কাটেনি গত ১৯ বছরেও। এখনও শুধু প্রয়াণ দিবসেই নয় সারাবছরই কীর্তিমাখা অভিনেতা সালমান শাহকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ভক্তরা।