বাংলা ভাষার প্রাচুর্য ও সৌন্দর্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বিভিন্ন ভাষায় বাংলা সাহিত্য অনুবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এজন্য মানসম্মত অনুবাদে দক্ষ অনুবাদক নিয়োগ করা হবে। অনুবাদ সাহিত্য বিপণনের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিপনি বিতানগুলোর সঙ্গে।
৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলা বর্ণমালা আর ভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো সালাম, রফিক, জব্বার আর বরকতরা। তাদের এই আত্মদানের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মায়ের ভাষা বাংলা। বিকাশ ঘটেছে অধুনিক বাংলা সাহিত্য।
নজরুল, বঙ্কিম আর শরৎ চন্দ্রের মতোই বর্তমান সময়ের অনেক লেখকের সাহিত্যকর্ম বিশ্বসাহিত্যে মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ না থাকায় শুধু বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যেই সীমবদ্ধ হয়ে আছে কীর্তিমান সেসব সাহিত্যকর্ম। এমন বাস্তবাতায় ইংরেজী, ফরাসি ও হিন্দি ভাষায় বাংলা সাহিত্য অনুবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাহিত্য ইংরেজীতে অনুবাদ না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাহিত্য যে সমৃদ্ধ তা আমরা বিশ্ববাসীকে জানতে পারছি না।আর শুধু অনুবাদ নয় সঙ্গে জরুরী বিপণন ব্যবস্থায়।শুধু সাহিত্য অনুবাদ হলো কিন্তু বিশ্বের লাইব্রেরি কিংবা চেইন শপগুলোতে বিক্রি হলো না, এরকম কিছু করা যাবে না।
বাংলা সাহিত্যের অনুবাদের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের বাংলা ভাষার বই অনুবাদ করার যে ধরণের দক্ষ অনুবাদক ভারতে পাওয়া সম্ভব।আমাদের বাংলাদেশেও আছেন তবে আমাদের দেশে এ ধরণের দক্ষ অনুবাদকের সংখ্যা কম।কারণ চর্চাটাই কম হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের দিয়ে যদি আমরা অনুবাদ করাই তবে আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্য সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে।
মীর মোশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু উপন্যাস ইংরেজীতে অুনবাদ করার মধ্যদিয়ে শুরু হবে এই নতুন অধ্যায়।