প্রমিত উচ্চারণ ও সাবলীল বাচনভঙ্গিসহ আকর্ষণীয় কৌশলে পড়ানোর ঘাটতির কারণে বাংলা ভাষা শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকে বলে মনে করেন অনেক শিক্ষক। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পাঠদানেরও সুপারিশ করেছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন: পড়ানোটা আনন্দদায়ক নয়, তাই ভালো লাগে না। এ শিক্ষার্থীর মতো আরো অনেকেরই হয়তো একই অবস্থা। পড়ানোর কৌশল আকর্ষণীয় না হওয়ায় বাংলা আর বাংলা ব্যাকরণের মতো বিষয়ে মনোযোগ হারায় অনেক শিক্ষার্থী।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংশ্লিষ্টরা বলছেন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠানে প্রমিত উচ্চারণে সাবলীল বাচনভঙ্গিতে পড়ানো হয় না।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি নায়েম এর মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. হামিদুল হক বলেন: শিক্ষকদের প্রথমত শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে হবে। দ্বিতীয়ত তার বিষয়বস্তুর ওপর একটা জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। এছাড়া অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা পদ্ধতির ওপর জোর দেন তিনি।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি- নায়েম এর পরিচালনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের শিক্ষকদের জন্য বাংলা বানান রীতি, প্রমিত উচ্চারণ রীতি এবং বাচিক কলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে।
প্রশিক্ষকরা বলছেন: নিবিড় এ প্রশিক্ষণে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণমূলক ‘শিক্ষণ পদ্ধতি’ আরো বাড়বে। শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হবে বাংলা ভাষা শিক্ষা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: